পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একই ঘটনার জেরে দোকানী আহত
চবি সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তায়েফুল হক তপুকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত দশটার দিকে শহীদ আব্দুর রব হলের ঝুপরিতে এ ঘটনা ঘটে।
তপু বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা দিন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনার জেরধরে রাতে চবি ক্যাম্পাসের বেশ কিছুু বাড়ি ভাঙচুর ও এক দোকানিকে কোপিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে তপু ও চবি ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান রব হলের ঝুপরিতে চা খাওয়ার সময় ১০-১২ জন মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্তরা এসে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এসময় তপু দৌড়ে রব হলের মাঠের দিকে গেলে সেখানে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। তপুকে কুপিয়ে দুর্বৃত্তরা নিমিশে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় তপুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার ফলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করে। চিকিৎসকরা জানান, তপুর মাথায় তিনটি ও শরীরে দশটিরও বেশি কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া চোখেও মারাত্মক জখম হয়েছে।
এদিকে তপুর হামলার খবর ছড়িয়ে পরলে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে। এসময় তপুর অনুসারীরা বিশ^বিদ্যালয়ে শাহজালাল হলের সামনে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে কয়েকশ’ নেতাকর্মী বিশ^বিদ্যালয়ের ২ নং গেইট এলাকায় পুরাতন মেডিকেল ব্লক এবং শাহী কলোনীতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
পুরাতন মেডিকেল কলেজ ব্লকের বাসিন্দা এনামুল হক মিঠু বলেন, ‘গত শনিবার রাত দুইটার দিকে দুই তিনশ’ ছাত্রলীগ কর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরে ঢুকে টিভি-ফ্রিজ ও বাসার জিসিনপত্র ভেঙ্গে ফেলে।’
অন্যদিকে তপুকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় হাটহাজারি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে চবি ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি স্বীকার করে হাটহাজারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘চবির ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তপুকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনার জের ধরে বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মো. নাসির নামে এক দোকানীকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার বিশ^বিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিকেল সেন্টারের চীফ মেডিকেল অফিসার মো. আবু তৈয়ব জানান, ‘নাসিরের মাথায় দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে মোট ১৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধায় ছাত্রলীগের বেশ কিছু কর্মী নাসিরের কাছে মামুনের খোঁজ জানতে চায়। এসময় সে মামুনের খোঁজ জানে না বললে তাকে উপর্যুপুরী কুপিয়ে আহত করে।
এদিকে বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসে নাই। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।