পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচী পালন করে তারা। বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং আট বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা শাবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ দাবি করেন। সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ভিসিকে উদ্ধারের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে, একাডেমিক ভবনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর শত শত টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে। ৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এটি একটি ন্যাক্কারজনক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, একসময় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের রক্ত বিলিয়ে দিত। আজকে শিক্ষকেরা নিজেরাই নিজেদের অবরুদ্ধের জন্য দায়ী। যে ভিসি নিরাপত্তা দিতে পারে না, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে পারে না, অবিলম্বে এই ব্যর্থ ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ন্যাক্কারজনক হামলার দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকেও নিতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, আন্দোলন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি জানাবে এবং প্রশাসন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। অথচ শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। পুলিশ ডেকে যেভাবে বেপোয়ারাভাবে লাঠিচার্জ করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত লজ্জার। অবিলম্বে এর বিচার দাবি করছি।
এসময় ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কস বাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বেশ কিছু বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যা ৬ টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে হামলার প্রতিবাদে নিন্দা ও ভিসির পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন করেন শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনে থাকা ভিসি, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সময়ে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে ভিসি ফরিদ উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এসময় তারা ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এই সরকার ছাত্রবান্ধব সরকার নয়। আমরা শাবিপ্রবির ছাত্রদের উপর বোমা ও গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মোল্লা বলেন, আপনার বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্রসমাজের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন এজন্য আপনাকে ছাত্র সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। শাবি ভিসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে ভিসি নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিক্ষার্থীদের উপর এধরণের হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে সেই ভিসি কখনো শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি নয়। আমরা সেই ভিসির অনতিবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি। তার যদি ন্যুনতম আত্মসম্মান থেকে থাকে তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
সবশেষে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।তারা টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার টিএসসি এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন। এসময় তারা বলেন, সাস্টের শিক্ষার্থীদের চলমান যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে আমরা একমত পোষণ করছি। এবং অনতিবিলম্বে ভিসির পদত্যাগ এবং প্রসাশনের ছত্রছায়ায় অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।