পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রবীণতম আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতি টিএইচ খানের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে হাজারো আইনজীবী, বিচারপতিদের অংশগ্রহণে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের নিজ গ্রামে। বিচারাঙ্গনের মহীরুহ টিএইচ খানের জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিগণ, সাবেক সম্পাদকগণ, সিনিয়র আইনজীবী এবং বিচারাঙ্গনের হাজারো মানুষ অংশ নেন।
জানাজার আগে টিএইচ খানের বড় ছেলে সাবেক এমপি আফজাল এইচ খান বক্তব্য রাখেন। তার জীবনী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজা শেষে তার লাশবাহী গাড়ি হালুয়াঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে ঔটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত রোববার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টিএইচ খান ইন্তেকাল করেন।
দেশবরেণ্য এই আইনজীবী একাধারে ছিলেন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি, বাংলাদেশের বিচারপতি, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠসহচর এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্য। টিএইচ খান ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৫১ সালের ১৪ মার্চ তৎকালিন পূর্বপাকিস্তান হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ১৯৬৮ সনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৪ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হন। বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এ পদে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।