ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মোহাম্মদ আবু নোমান
মিতব্যয় মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি করে এবং অন্যকে সাহায্য করার পথ উন্মুক্ত করে। মিতব্যয়ীরা কখনই নিঃস্ব হয় না। সঞ্চয়ের জন্য ধনী হওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন থেকেই জন্ম নেয় প্রত্যয়, আর দৃঢ় প্রত্যয় থেকেই গড়ে ওঠে সঞ্চয়ের প্রবণতা। পরিবার ও জাতির কল্যাণে মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস’। ১৯২৪ সালে মিলানে অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালন শুরু হয়। সমৃদ্ধি ও সম্পদের জন্য সঞ্চয়ের মনোভাব মানব জীবনে একটি অপরিহার্য বড় গুণ। ব্যক্তি জীবনে যত বেশি সঞ্চয় হবে ততই বাড়বে ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক নিরাপত্তা। অপচয় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গর্হিত ও ক্ষতিকর কাজ। অপব্যয় রোধ ও সঞ্চয়, ব্যক্তি, সমাজ এবং সর্বোপরি জাতির জন্য কল্যাণকর। এই সঞ্চিত অর্থ ব্যবহƒত হতে পারে যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজে, যা দিতে পারে স্বনির্ভরতা।
জাতীয় উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি অতি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতিবিদদের অভিমত অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের দুটো পন্থা রয়েছে- ১. স্বেচ্ছায় সঞ্চয় এবং ২. কর সংগ্রহের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক সঞ্চয়। স্বেচ্ছায় সম্পদ যত বৃদ্ধি পাবে, কর বা রাজস্ব আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা তত হ্রাস পাবে। এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো তাদের উন্নতি সাধন করেছে।
অপচয় এখন আমাদের সমাজের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মতো একটি গরিব দেশের নাগরিকদের জন্য মিতব্যয়িতা অত্যাবশ্যক হলেও দুঃখজনকভাবে এদেশে অপচয়ের অভ্যাস ব্যাপক। অপচয় করার বিষয়টি অনেকটাই মানসিক। কেননা, অপচয়ের ভেতরে নিজের বিলাসী সামর্থ্য দেখানোর মনোভাব ও আভিজাত্য প্রকাশ করার প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি। প্লেটভর্তি খাবার নিয়ে খাওয়ার শেষে কিছু অংশ না খেয়ে প্লেটে রেখে দেয়াটা যেন একটি ফ্যাশন। বিশেষ করে পার্টি, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে এ অপচয় খুব বেশি দেখা যায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না’। রাসূল (সা.) বলেছেন, পেট হলো সকল রোগের বাসা এবং মাত্রাতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই হলো সর্বোত্তম ওষুধ। রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, কারণ তা মানুষকে নিষ্ঠুর করে তোলে এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অলস হয়ে পড়ে ও সদুপদেশ শ্রবণে অনীহা সৃষ্টি হয়।’
মানবতার ধর্ম ইসলাম বলে, ‘অপচয়কারী শয়তানের ভাই’। অপচয় ও অপব্যয়ের চূড়ান্ত পরিণতি হলো দারিদ্র্য। রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ অপচয়কারীকে অভাবগ্রস্ত করেন। এ জন্যই অপব্যয়ের কুফল সম্পর্কে কবি বলেছেন, ‘যেজন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের ভাতি, আশুগৃহে তার দেখিবে না আর নিশিথে প্রদীপ বাতি’। আমাদের সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণির হাতে আছে সীমাহীন অর্থ। তারা এমন সব যথেচ্ছ ব্যয় নিয়ে মশগুল থাকে যা খুব সহজেই পরিহার করা যায়। আমোদ-প্রমোদ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার অথিতি আপ্যায়নে প্রচুর অর্থের অপচয় হয়। বিপুল পরিমাণে অর্থ-বিত্ত-বৈভব থাকলে এর অপচয় করার ক্ষমতা থাকতে পারে বটে কিন্তু নৈতিক অধিকার নেই। এই সঞ্চিত অর্থ ব্যবহৃত হতে পারে যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজে, যা দিতে পারে স্বনির্ভরতা। স্বনির্ভরতার জন্য অপব্যয় পরিহার ও সঞ্চয় অপরিহার্য।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়। এ অপচয়ের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি ডলার, যা আমাদের বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বের বহুসংখ্যক মানুষের এখনো নিয়মিত তিন বেলা খাবার জোটে না।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি-বিষয়ক কৌশলগত পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই গবেষণায় এসেছে- বাংলাদেশের ৪ কোটি মানুষ এখনো ক্ষুধার্ত থাকে। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের খাদ্য নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সরকার ও জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির এক যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। অথচ হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল অবস্থাপন্নদের ঘরে উঠছে। প্রতিবেদনের অন্যতম গবেষক আয়ারল্যান্ডের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক বলেন, অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের জনগণের উৎপাদনশীলতা কমছে, যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি। বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। অথচ এই ক্ষুধার্ত মানুষরাই এই অতিভোজী-অপচয়কারীদের জীবনমানের বিভিন্ন বিষয়ের জোগান দিচ্ছেন। ধনী দেশগুলোর ভোক্তারা বছরে ২২ কোটি টন খাদ্য নষ্ট করছে। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ভোক্তাপ্রতি খাদ্য নষ্টের পরিমাণ বছরে ৯৫ কেজি থেকে ১১৫ কেজির মতো। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লাখ টন খাদ্য সচেতনতার অভাবে নষ্ট বা অপচয় হয়।
সামাজিক অবস্থান ও ধন-সম্পদ মানুষের ভোগের হার নির্ধারণ করে বিধায় কারো ভোগের পেয়ালা উপচে পড়ে, কারো ভোগের হাঁড়ি শূন্য থাকে। যাদের পেয়ালা উপচে পড়ছে তারা যদি শূন্য হাঁড়িতে সামান্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসে, তা হলে একদিকে যেমন উপচেপড়া অপচয় বন্ধ হবে, অন্যদিকে কোনো হাঁড়িও আর শূন্য থাকবে না। অপব্যয়ের আরেকটি মহামারী ক্ষেত্র হচ্ছেÑ যেখানে নিজের অর্থ ব্যয়ের সম্পৃক্ততা থাকে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের লাইট, ফ্যান, কাগজ, কলম, যানবাহন কিংবা কারখানার ব্যয় সরকার কিংবা কোম্পানির মালিক বহন করে। এসব সরকারি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিতব্যয়িতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ছাড়াও শ্রমঘণ্টা যেন নষ্ট না হয়, শ্রমিক যেন অলস সময় নষ্ট না করে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি করা না হয়। মানবসম্পদ ও শক্তিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করাও এক ধরনের অপচয়। ইসলামে অপচয় ও অপব্যয় উভয়ই নিষিদ্ধ। অপচয় ও অপব্যয় না করে তা মানব কল্যাণে ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানুষ ও মুমিনের কাজ। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করাই হলো মিতব্যয়িতা, যার মধ্যেই নিহিত রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। ইসলাম ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শ হচ্ছে সবকিছুতে ব্যয় সঙ্কোচন। এই নীতি অবলন্বন করলে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত কোথাও দরিদ্র থাকবে না। যে কোনোরূপ সঞ্চয়ই অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
মানুষ আয়েশী জীবনযাপনের জন্য ব্যাপক অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করে। দেখা যায় কেউ জীবন দিয়ে পরিশ্রম করেও দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পায় না। আবার কেউ কেউ মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও গৃহহীন বা ভূমিহীন, কেউ বেকার ও সহায়সম্বলহীন। মিতব্যয়িতার নামে কৃপণ হওয়া যাবে না। কারণ, মিতব্যয় আর কৃপণতা এক নয়। মিতব্যয় হচ্ছে যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ব্যয় করা। কিন্তু কৃপণতা হলো, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যয় না করা। এ কারণে ইসলামে অপচয় ও অপব্যয়ের মতো কৃপণতাও নিষিদ্ধ। সম্পদ কমে যাবে এ কারণে নিঃস্ব ও বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা না করার জন্য কৃপণরা দোষী। আর অপচয়কারীরা দোষী এ কারণে যে, তারা অপ্রয়োজনে ব্যয় করে। অপচয় হচ্ছে বৈধ কাজে প্রয়োজনাতিরিক্ত ব্যয় করা, আর অপব্যয় হচ্ছে অবৈধ কাজে ব্যয় করা। কোরআন ও হাদিসে ক্ষুধার্ত, বস্ত্রহীন, অভাবগ্রস্ত, অনাথ-ইয়াতিম, নিঃস্ব ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের উপার্জনের ব্যবস্থা করা এবং সহায়তা করাকে মুসলমানদের কর্তব্য বলে ঘোষণা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কী কারণে তোমাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে? তারা বলবে, আমরা নামাজ পড়তাম না এবং আমরা অভাবগ্রস্তদের আহার্য দিতাম না’।
ইসলাম ভারসাম্যপূর্ণ ও মধ্যমপন্থি ধর্ম। তাই এতে অপব্যয় ও কৃপণতার মতো অপচয়ও নিষিদ্ধ। আল্লাহপাক খাঁটি বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না কার্পণ্যও করে না, বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়।’ এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা.) বলেন, ‘কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ থেকে দূরে, জান্নাত থেকে দূরে এবং মানুষের থেকে দূরে থাকে। কিন্তু জাহান্নামের নিকটবর্তী থাকবে।’ মানুষ তখনই মানুষ হয়, যখন সে অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্টে সহানুভূতি দেখায়, বিপদে-আপদে সহায়তা করে। কিন্তু কৃপণ, অপচয় ও অপব্যয়কারীরা তা করতে পারে না কিংবা করে না।
রাসূল (সা.) হেরা গুহায় প্রথম ওহি লাভের পর কিছুটা ভীত ও বিচলিত হয়ে গিয়েছিলেন। ঘরে ফিরে প্রিয় সহধর্মিণী হজরত খাদিজাকে আহ্বান জানালেন কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে। খাদিজা (রা.) তার প্রাণাস্পদের এই বিহ্বলতা দেখে সান্ত¡না দেন এই বলেÑ আপনি আত্মীয়ের প্রতি সদাচার করেন, অসহায় ব্যক্তির বোঝা বহন করেন, নিঃস্ব ব্যক্তির উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করেন। অর্থাৎ আপনার জীবন ও কর্ম যেহেতু মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত, সেহেতু আপনার বিচলিত বা অস্থির হওয়ার কিছু নেই। খাদিজা (রা.) ছিলেন আরবের বড় ব্যবসায়ী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিচক্ষণ নারী, জাহেলিয়াতের কোনো কিছুই তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। কাছে থেকে দেখেছেন মানুষের প্রতি মহানবীর (সা.) সহানুভূতিশীল হৃদয়কে। তাই তিনি তার প্রিয়তম স্বামীর বিহ্বলতার সময় প্রবোধ দিয়েছেন তার মানবীয় গুণাবলীর কথা বলে। তার বিশ্বাস ছিল, মানুষের জন্য যার হৃদয় এত কাঁদে তার ভয়ের কিছু নেই, কোনো কিছুতেই তার কোনো ক্ষতি হতে পারে না।
ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, মানুষকে সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে। চরমপন্থা পরিহার করে মধ্যপন্থা অবলম্বনের নামই ভারসাম্যতা অর্থাৎ কোনো ক্ষেত্রেই সীমা লংঘন করা যাবে না। হযরত আলি (রা.) বলেছেন, অজ্ঞরাই চরমপন্থি। এবাদতের ক্ষেত্রেও বাড়াবাড়ি অন্যান্য দায়িত্ব ভুলে যাওয়া যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে, এবাদত যাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পথে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়। রাসূল (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘এবাদতকে বান্দাদের ওপর বিরক্তিকর পন্থায় চাপিয়ে দিও না’।
সাআদ (রা.)-এর ওজু করার সময় রাসূল (সা.) বললেন, হে সাআদ অপচয় করছ কেন! সাআদ বললেন, ওজুতে কি অপচয় হয়? রাসূল (সা.) বললেন, হ্যাঁ প্রবাহমান নদীতে বসেও যদি তুমি অতিরিক্ত পানি ব্যবহার কর তা অপচয়। গোসল, কাপড়, মাছ, তরকারি, থালা-বাটি পরিষ্কারে পানির অপব্যবহার। আলোকসজ্জার নামে বিভিন্ন মার্কেট, রেস্টেুরেন্ট, বহুতল ভবনে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় করা হয়, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। মাসিক নির্ধারিত বিল হওয়ার কারণে অধিকাংশ গ্রাহক মনে করেন, ২৪ ঘণ্টাই তার গ্যাস জ্বালানোর অধিকার আছে। এ ধারণা ভুল। পোশাক শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেয়ে বেশি কাজে লাগছে শোভাবর্ধন ও বড়াই করার জন্য। শাড়িটা কেমন? এ প্রশ্নের চেয়ে শাড়ির দাম কত? এ প্রশ্নই বেশি করতে শোনা যায়।
ছোটবেলা থেকে অহেতুক অতিরিক্ত খরচের অভ্যাস না করে মিতব্যয়িতার দিকে নজর দেয়া জরুরি। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ থেকে অতিরিক্ত লোভের সৃষ্টি, উচ্চাভিলাষী এবং নেশার মনোভাবই তরুণ সমাজ ধ্বংসের কারণ। তাই ছোটবেলার মিতব্যয়িতা পরবর্তী জীবনে মানুষকে সৎ, আদর্শবান এবং সামাজিক নীতিবোধে বিশ্বাসী হতে সহযোগিতা করে।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।