পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ই-ভ্যালির অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রতিষ্ঠানটির সিটি ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এ টাকা উত্তোলন করা যাবে। আদেশে ই-ভ্যালির নামে থাকা ২২টি গাড়ি ভাড়া বা বিক্রি করে দেয়ারও অনুমতি দেন হাইকোর্ট। এছাড়া ই-ভ্যালি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং সম্পদের হিসাব দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে ই-ভ্যালির বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানীর স্বার্থে ২ কোটি ৩৫ টাকা ব্যবহার করতে বলেছেন আদালত। আদালত ই-ভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে সংস্থাটির মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে প্রতিদিন গ্রাহকরা এসে ভিড় করছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ই-ভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায় কীভাবে টাকা ব্যয় করেছেন তার তালিকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
ই-ভ্যালির ব্যবস্থাপনায় গঠিত বোর্ড কী ধরনের কাজ করবে- সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। অডিট লাগবে, বোর্ড অন্য কাজগুলোও দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া) করবে। কোম্পানির অবসায়ন চেয়ে আবেদনকারী আবেদন করেছেন। তখন আবেদনকারীর সঙ্গে বোর্ডও বলবে, কোম্পানিটি অবসায়ন করতে হবে। আর যদি বলে চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে।
জানতে চাইলে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, বোর্ড শুরুতেই ই-ভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে অডিট করবে। তাদের কাছে দায়-দেনার পরিমাণ হিসাব, কত অর্থ তাদের কাছে ভোক্তাদের পাওনা, তাদের কত সম্পদ আছে এই পুরো বিষয়টা অর্থাৎ কোম্পানিটি কী অবস্থায় আছে সেটার একটা খতিয়ান করতে হবে। এজন্য শুরুতেই অডিট করবেন তারা। তিনি বলেন, কোম্পানিটির যে দেনা রয়েছে তা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে, কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব, নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিত, এসব বিষয়ে অডিটের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কোম্পানিটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়, তাহলে বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।