পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না এবং ইভিএমে ভোটের রেজাল্ট পাল্টে যায় কিনা, সে শঙ্কার মধ্যেই আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। এটা হচ্ছে ইসির নূরুল হুদা কমিশনের বিদায়ের শেষ পর্যায়ের কোনো আলোচিত নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ ভোটার অধ্যুষিত নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আর হাতি মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে। আইভী বলেছেন, নির্বাচনের বিশৃঙ্খলা না হলে কমপক্ষে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো। আর অ্যাডভোকেট তৈমূর তার কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতারের অভিযোগ করে বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হলে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো। তবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি ভোটারদের আর্তি তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।
নাসিক নির্বাচনে এবার ১৯২ কেন্দ্রের সবকটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। এ জন্য ২৯১২ ইভিএম মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি করবে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। ইসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্র থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো বন্ধ রাখা হবে।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা ও কদমরসুল পৌরসভাকে একত্রিত করে গঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। এটা হচ্ছে নাসিকের তৃতীয় মেয়র নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। গতকালই সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ ভোটগ্রহণের সব সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইন্স মাঠে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ব্রিফিং করেছেন জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। অনুষ্ঠানে রিটার্নিং কমকর্তা মাহফুজা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবিসহ পাঁচ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাউকে ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্রে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। নির্বাচনের দিন বহিরাগত কাউকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ১৮ বছরের ওপরে যারা নারায়ণগঞ্জ থেকে বের হবেন, তাদের এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। নাসিক নির্বাচনে ১৯২টি ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে ৩০টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মাঠপ্রশাসন। নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকবেন ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া, অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৯ জন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ১৪ জন, পুলিশের স্ট্রেইকিং ফোর্স ২৭টি, প্রতি টিমে ৫ জন সদস্যসহ পুলিশের মোবাইল কোর্ট বসানো হবে ৬৪টি, একজন এএসআইসহ প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হবে ৫ জন, প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবেন ১২ জন। এছাড়া ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ৬ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র্যাবের ৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ৬টি চেক পোস্ট, র্যাবের টহল টিম ৭টি, ৫ ইভিএম কেন্দ্রের জন্য ১টি করে মোট ৪৮টি টেকনিক্যাল টিম এবং পুরো নির্বাচনী এলাকায় উচ্চ পর্যায়ের টেকনিক্যাল টিম থাকবে ৫টি বলে জানানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও মূলত লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আর হাতির প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে। এই নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা, হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। ভোটের আগে তৈমূর আলম খন্দকারের বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হলেও নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালিয়েছেন। এ ছাড়াও হেফাজতে ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থন দিয়েছে। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না জানালেও স্থানীয় নেতারা হাতি প্রতীকের পক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন। অন্যদিকে সেলিমা হায়াৎ আইভী বাম ধারার নেতাদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। শামীম ওসমানের পছন্দের প্রার্থীকে নৌকার নমিনেশন না দেয়ায় আওয়ামী লীগের শামীমপন্থিদের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় তেমন দেখা যায়নি। তাছাড়া ডা. সেলিনাও চাননি শামীম ওসমান নির্বাচনী প্রচারণায় নামুক।
নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্দর থানার চার ইউপি চেয়ারম্যান কাজ করেন আইভীর প্রতিদ্ব›দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে। এ চার চেয়ারম্যান হলেন বন্দর ইউপির এহসান চৌধুরী, কলাগাছিয়া ইউপির দেলোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও ধামগড় ইউপির কামাল হোসেন। ইসলামি ধারার একাধিক দল মেয়র পদে প্রার্থী দিলেও অধিকাংশ ইসলামি ধারার দল এবং জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলের নেতাকর্মীরা হাতি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, চারজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দলের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৬ কেন্দ্রীয় নেতা। এ ছাড়াও বাম ধারার নেতাদের সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপের পরও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভাজন দূর হয়নি। নির্বাচনী সভার মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা গেলেও নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে মাঠে নামাননি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যদিও শামীম ওসমান এমপি সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা মার্কাকে জেতানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে ভোটের দিন দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবেন কি না, তা নিয়ে দলে দুশ্চিন্তা রয়েছে। আইভীর নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত দলের একাধিক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা তাদের এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে শামীম ওসমান পরিবার তথা ওসমান পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ব্যাপক। তাদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধ বেশ পুরনো। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী এলাকা বন্দর, নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত। এই দুই আসনের সংসদ সদস্য হলেন দুই ভাই শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান। তাদের সঙ্গে আইভীর দূরত্বে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও বড় বিভাজন তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনের শুরু থেকে তা দূর করার চেষ্টা করে হুমকি-ধমকি দিয়েও সফল হননি। সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কেন্দ্রের চাপে কয়েক দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার পক্ষে মাঠে নামার ঘোষণা দিলেও আইভীর নাম মুখে নেননি। আইভীও এ নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখাননি। সব মিলিয়ে এই বিভাজনের জন্য দুই পক্ষের দায় আছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, মূলত দুই কারণে আইভী ও ওসমান পরিবারের ভোটের মাঠে ঐক্য হচ্ছে না। প্রথমত, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইভীর দূরত্ব অনেক বেশি। এই দূরত্ব শুধু ভোটকে সামনে রেখে অবসান হয়নি। দ্বিতীয়ত, টানা দুই মেয়াদে মেয়র থাকায় দলের বাইরেও আইভীর নিজস্ব জনসমর্থন ও লোকবল তৈরি হয়েছে। বামধারার নেতাকর্মী বেষ্টিত হয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন; আওয়ামী লীগ নেতাদের পাত্তা দেননি। কর্মী-সমর্থকরাও শামীম ওসমানের অনুসারীদের সহ্য করতে পারে না। ফলে আইভীও কিছু ক্ষেত্রে চাননি শামীম ওসমানের অনুসারীরা তার পক্ষে মাঠে নামুক।
ডিসির সংবাদ সম্মেলন : নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিসি ও এসপি পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। ইলেকশন শান্তিপূর্ণভাবে হবে। নাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা ভোটের সব সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। আরও ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। পুলিশের ৭৫টি ও র্যাবের ৬৫টি টিম মাঠে থাকবে। বিজিবিও আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। নির্বাচনের জন্য যারা থ্রেট হতে পারেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত, ফোনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমাদের ইলেকশনের রুটিন ওয়ার্ক করছি। দাগী আসামিদের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বহিরাগতদের নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ডিসি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের কথা জানি না, সেটা সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এছাড়া কোনো সরকারি বাসস্থানে প্রশাসনের লোক ছাড়া কাউকে স্থান দেওয়া হয়নি। সব সেন্টারকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সবাই নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন।
তৈমূরের সংবাদ সম্মেলন : সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, মানুষের ওপর যত অত্যাচার হয় ভোটাররা ততো ঐক্যবদ্ধ হয়। লক্ষাধিক ভোটে পাস করব। মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। শহরের মাসদাইর এলাকার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমি প্রচার না সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাইনি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে আমি কি বলব না? আমার লোকজন গ্রেফতার হচ্ছে, আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দেবেন, আমি কথা বলতে পারব না। সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব। প্রশাসনকে বলব জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব। বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। ভোট যাই হোক, আমরা মাঠে থাকব। গ্রেফতার হলে হবো; কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাব। এ সময় তিনি হাতি মার্কার কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।