Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অধ্যাপক ড. তাজমেরীকে মুক্তির দাবি ঢাবি সাদা দলের

রাবির ১০১ শিক্ষকের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষক এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও তাকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১০১ শিক্ষক।
সংগঠনের আহবায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই ছিলেন না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। তিনি একজন রসায়নবিদ হিসেবে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সাথে দায়িত্বপালন করেছেন। এমন একজন কৃতি শিক্ষাবিদকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরার পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রাণিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার এবং জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করা ঘটনাকে আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি। অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম কেবল একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন নারী ও জেষ্ঠ্য নাগরিক। তাঁকে গ্রেপ্তার কারাগারের প্রেরণের ঘটনাকে আমরা মানবাধিকারের পরিপন্থী বলেও মনে করি। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করে অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দানের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাবির ১০১ শিক্ষকের বিবৃতি
এদিকে রাজশাহী ব্যুরো জানায়, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১০১ শিক্ষক। প্রবীণ অধ্যাপককে কারাগারে প্রেরণের ঘটনার গতকাল শুক্রবার বিকেলে ১০১ শিক্ষক নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলাম শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সাথে দায়িত্বপালন করেছেন। এমন একজন কৃতী শিক্ষাবিদকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরার পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রাণিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার এবং জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করার ঘটনাকে আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মনে করি। রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন এবং বিএনপিকে ধ্বংস করে নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার যে ঘৃন্য চক্রান্ত করছে অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামের কারান্তরীণের ঘটনার মাধ্যমে সেটি স্পষ্ট হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. শামসুল আলম সরকার, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর ফজলুর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সাহেদ জামান, প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন,প্রফেসর ড. সায়েদুল হক পান্নু, প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. হাছানাত আলী, প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, প্রফেসর ড. আনিছুর রহমান, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. তরিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নুরুল আলম, প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান, প্রফেসর ড. সাজিদ, প্রফেসর ড আনোয়ারুল কবির রুবেল, প্রফেসর ড. স্বপ্নীল রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অধ্যাপক ড. তাজমেরী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ