পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাবি রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানা ও তার অনুসারীদের কক্ষ তল্লাশি করে বইয়ের বদলে বিপুল পরিমাণে মাদকের খালি বোতল, রাসায়নিক দ্রুব্য ও একটি ইলেক্ট্রনিক সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে করেছে প্রশাসন। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে এসব উদ্ধার করে পুলিশ।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে এম মিজানুর রহমান রানাকে বহিস্কারের পর শনিবার রাতে তিনি তার সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে হল ত্যাগ করেন। এরপরেই হল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রিত বঙ্গবন্ধু হলের ২২১, ২২২, ২২৪, ২৩২ ও ২৩৩ নম্বর কক্ষ তালাবন্ধ করে দেয়। এরপর সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান ও হল প্রধ্যাক্ষ অধ্যাপক মোহা. আশরাফ উজ জামানের উপস্থিতে কক্ষগুলো তল্লাশি করা হয়। এসময় ২৩৩ নম্বর কক্ষের বক্স থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশী মদের বোতল পাওয়া যায়। ওই কক্ষে এম মিজানুর রহমান রানা একাই থাকতেন। এছাড়া ২২১ নং কক্ষ থেকে অন্তত ৪০টি ফেনসিডিলের খালি বোতল, ১০টি বিদেশী মদের খালি বোতল ও ৭টি বোতলে তরল রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া গেছে। ওই কক্ষটিতে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান। এছাড়াও অন্য কক্ষগুলোতেও বেশ কিছু মাদকের খালি বোতল ও একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রধ্যাক্ষ অধ্যাপক মোহা. আশরাফ উজ জামান বলেন, ছাত্রলীগের ওই কক্ষগুলোতে তারা কিছু ফেলে গেছে কিনা তা দেখতেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষ থেকে অনেকগুলো মাদের খালি বোতল পাওয়া গেছে। এছাড়াও কয়েকটি প্লাস্টিকের বোতলে রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া গেছে। প্রাধ্যক্ষকের কথা মতো সেগুলো পরীক্ষা করার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। তল্লাশির পর কক্ষগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম তারা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল, সেজন্য তাদের রুম থেকে বইপত্র পাওয়া যাবে। কিন্তু তার কিছুই মেলেনি। কক্ষগুলোতে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ ছিল না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।