পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এ অনুরোধ করেন তিনি।
টেলিফোনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও নিজ নিজ দেশের মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আলাপকালে ড. মোমেন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
টেলিফোনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান আনতে সিঙ্গাপুর ও আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন, যেন তাদের দ্রুত স্বদেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা যায়। এ সময় ড. ভিভিয়ান আশ্বস্ত করেন, এ সংকটের একটি টেকসই সমাধানে সিঙ্গাপুর অব্যাহতভাবে নিযুক্ত থাকবে।
ড. মোমেন চলমান কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের প্রতি সিঙ্গাপুর সরকারের ক্রমাগত সহায়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আরও পরামর্শ দেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করতে পারে।
টেলিফোনে ড. মোমেন উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এফটিএ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে পারস্পরিকভাবে উপকারী হবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এফটিএ দ্রুত শেষ করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সম্মত হন। ড. মোমেন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন খাতে বিনিয়োগ করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে অনুরোধ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।