পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : “ভাঙ্গা তরী ছেঁড়া পাল, চলবে আর কতকাল” এই গানের মডেল ছিলেন মো. হেলাল হোসেন ওরফে সেলিম ফকির। তবে ওই গানের সাথে তার জীবন ছিল মিল রয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। দেশের বিভিনড়ব মাজার ও রেল স্টেশনে ঘুরে বেড়াতেন। গাইতেন বাউল গানও। এভাবেই চলছিল তার জীবন। তবে এই জীবনের শেষ কোথায় তা জানা ছিলো না সেলিম ফকিরের। অবশেষ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর চঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে। র্যাব জানায়, বাউল গানের মডেল মো. হেলাল হোসেন ওরফে সেলিম ফকির ওরফে বাউল সেলিম ওরফে খুনি হেলাল একনজন সিরিয়াল কিলার। শুধু তাই নয়, খুনের ঘটনায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি। এছাড়াও সে আরও ০২টি হত্যা মামলার আসামিও।
জানা যায়, বছর ছয়েক আগে ইউটিউবে ‘ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল’ শিরোনামে একটি গানের ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওটিতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বাউল বেশধারী এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়। র্যাব বলছে, বাউল বেশধারী ওই ব্যক্তি আসলে দুর্ধষ এক খুনি। যে অন্তত তিনটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এত পুরোনো একটি ভিডিও হঠাৎ কীভাবে এলো র্যাবের নজরে? গতকাল র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলছেন, মাস ছয়েক আগে এক ব্যক্তি র্যাবকে জানায়, বগুড়ায় ২০০১ সালে চাঞ্চল্যকর বিদ্যুৎ হত্যাকাণ্ডের আসামি হেলাল হোসেনের চেহারার সঙ্গে ওই বাউল মডেলের চেহারার মিল রয়েছে। এ সন্দেহের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর শুরু করে র্যাব। বিদ্যুৎ হত্যা মামলার এজাহার থেকে শুরু করে বিভিনড়ব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে, এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হেলাল হোসেন।
তদন্তে নেমে র্যাব জানতে পারে, গানটির শুটিং হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের রেল স্টেশনে। সেখান থেকে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে র ্যাব-৩ এর একটি দল গত বুধবার রাতে ভৈরব রেল স্টেশন থেকে মিউজিক ভিডিওতে বাউলের মডেল হওয়া ওই ব্যক্তি অর্থাৎ হেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। হেলাল হোসেন বাউল সেলিম, সেলিম ফকির, খুনি হেলাল ও হাত লুলা হেলালসহ বিভিনড়ব নামে পরিচিত।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র ্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলাল হোসেন আমাদের বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, বগুড়ায় ২০০১ সালের বিদ্যুৎ হত্যাকাণ্ডের চার আসামির মধ্যে সে একজন। ওই হত্যাকাণ্ডের মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। বগুড়ায় ১৯৯৭ সালে সংঘটিত আরও একটি হত্যা মামলারও আসামি সে। একইসঙ্গে ২০০৬ সালে রবিউল হত্যা মামলার আসামিও সে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা এবং চুরির একটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
র্যাব বলছে, হত্যা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।