পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ : ২২০ও ১৫২/৩ (৩১.০ ওভারে)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২৪৪/১০
(২য় দিন শেষে)
শামীম চৌধুরী : চট্টগ্রাম টেস্টে ছড়িয়েছে মেহেদী’র রঙ। চট্টগ্রামে অভিষেক হওয়া ১৯ বছরের সেই ছেলেটি ঢাকা টেস্টও ছড়িয়েছেন মেহেদী রঙ। প্রথম ইনিংসে ২২০ নিয়ে হাল আমলের সেরা ব্যাটিং লাইন আপ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিড নেয়া দূরুহÑতবুও সেই দুরূহ চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিড নিতে পারেনি ঠিকই, তবে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ২৪’র বেশি লিড নিতে না দেয়ার নায়ক এই অফ স্পিনার! দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারে মঈন আলীকে বোল্ড আউটে দারুন কিছু’র সম্ভাবনা দেখানো মিরাজ দ্বিতীয় নুতন বলে কেটেছেন ইংল্যান্ডের লেজ। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট (৬/৮০), ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৬ উইকেট) ৬/৮২। এই প্রথম ২ টেস্টে ২টি ৫ উইকেটের ইনিংসে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে নুতন ইতিহাস রচনা করেছেন মিরাজ। তাতেই দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখছে এখন বাংলাদেশ। যে উইকেটে স্পিন বিষাক্ত ছোবল দিচ্ছে,সেই শের-ই-বাংলায় দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ১২৮,হাতে আছে ৭ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে বড় বেকায়দায় ফেলে অবিশ্বাস্য কিছু’রই স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে অপরিনামদর্শি সুইপ শটে আত্মাহুতি দিয়ে বড় অপরাধ করেছেন মাহামুদুল্লাহ (৪৭), সম্ভাবনা দেখানো পার্টনারশিপ থেমেছে ৮৬’তে। তারপরও রোমাঞ্চকর টেস্টে দ্বিতীয় দিনটি যে বাংলাদেশেরই।
যেভাবে দ্বিতীয় দিনটি করেছে শেষ, তার চেয়েও দিনটি ভালভাবে সমাপ্তির সম্ভাবনা ছিল। দিনের প্রথম ঘন্টায় ৬৪ রানে ইংল্যান্ডের ৩ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে, লাঞ্চের আগে ৫ উইকেট ফেলে দিয়ে লিডের সম্ভাবনাই দেখেছে মুশফিকুরের দল। তবে স্কোরশিটে ১৪৪/৮ থেকে ইংল্যান্ডের শেষ ২ জুটি কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান যোগ করতে পেরেছে, তা সম্ভব হয়েছে লাঞ্চের পরের ঘন্টায় উইকেটহীন ৫৭ রান ইংল্যান্ড যোগ করায়। ইংল্যান্ডের নবম জুটি (ওকস-আদিল রশিদ) অপ্রত্যাশিত ৯৯ রান যোগ করতে পেরেছে মুশফিকুরের ভুল পরিকল্পনায়। মিরাজ, তাইজুল, সাকিবÑএই স্পিন ত্রয়ীকে বিশ্রাম দিয়ে পেস বোলার রাব্বী, অফ স্পিনার শুভাগতহোম, পার্টটাইম বোলার সাব্বিরকে ১২ ওভার বোলিং করতে দেয়াটাই ছিল বড্ড ভুল। ইংল্যান্ডকে ছন্দে ফিরিয়েছেন এই তিন বোলার উইকেটহীন ৩৬ রান যোগ করে! ১৭ রানের মাথায় তাইজুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে, মুশফিক, রিয়াদের হাত থেকে বেঁচে রুট ইনিংস টেনে নিয়েছেন ৫৬ পর্যন্ত। মিরাজের বলে ০ রানে জাফর আনসারী একইভাবে বেঁচে যাওয়ার পর বোনাস ১৩ রান করেছেন যোগ। এখানেও কষ্টটা পেতে হচ্ছে। তারপরও চট্টগ্রামে ৩শ’র নিচে বেধে ফেলার (২৯৩) অতীত থেকে ঢাকায় আড়াইশ’ নীচে (২৪৪) থামিয়ে দেয়া কম কিসের ? কৃতীত্বটা দিতে হচ্ছে নুতন বলে মিরাজের ভয়ংকর রুপ ছড়ানোয়। ৮১তম ওভারে দ্বিতীয় নুতন বল হাতে পেয়ে ওকসকে ফিরিয়ে দিয়েই বাংলাদেশের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন এই অফ স্পিনার। লম্বা স্পেলে (২২-৩-৫৬-২) ইংল্যান্ডের কাঁপুনি ধরানো বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলকেও (৩/৬৫) দিতে হচ্ছে হাততালি।
দ্বিতীয় ইনিংসে এদিন বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংকেই দিয়েছে গুরুত্ব। ওপেনিং পার্টনারশিপে তামীম-ইমরুলের ৬৫ এসেছে মাত্র ৪৭ মিনিটে! আনসারীর বলে লেগ সিøপে ক্যাচ দিয়ে ৪০এ কাঁটা পড়েও তামীমকে দিতে হচ্ছে বাহাবা। মুমিনুল এদিন স্টোকসের বলে দিয়ে এসেছেন স্লিপে ক্যাচ (১)। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইমরুলের ছন্দে ফেরা দ্বিতীয় এবং ক্যারিয়ারে ৪র্থ ফিফটিটি থেকেছে অবিচ্ছিন্ন (৫৯ নট আউট), মাহামুদুল্লাহ’র সঙ্গে ৮২ মিনিটে ৮৬ রানের পার্টনারশিপে ইতিবাচক ব্যাটিং দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ঢাকা টেস্টে দ্বিতীয় উইকেট জুটির ১৭০’র পর মাত্র ৪৯ রানে শেষ ৮ উইকেট পতনের সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে নুতন কিছু’র প্রত্যাশাই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।