পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা সংসদীয় কার্যক্রম, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিস্থিতি এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এই সুসম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিনিধি বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পর উত্তম সংসদীয় চর্চা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। এ সময় তিনি সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ কার্যক্রম সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার বলেন, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে ২১ শতাংশ। সংসদে বর্তমানে ২৩ জন সরাসরি নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যের পাশাপাশি ৫০ জন সংরক্ষিত সদস্য রয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীর অগ্রাধিকারের ব্যাপারে এখনও সংবেদনশীল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণ খুব আন্তরিক উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে তার নিয়োগকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে তার কর্মকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় স্পিকার রাষ্ট্রদূতের ভবিষ্যত কর্মময় জীবনের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার জানিয়েছেন, আগামী ক’মাসের মধ্যে ওয়াশিংটনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। প্রতিনিধিদলটি দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আলোচনার প্রস্তুতিতে রয়েছে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপদেষ্টা ড. রিজভীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মিলারের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় ঢাকাস্থ আমেরিকা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হেলেন লাফেইভ ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান আর্তুরো হাইনস উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আলোচনায় বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে প্রায় ৩ বছর ২ মাস অবস্থানকালে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উপদেষ্টা ড. রিজভী ব্যবসা-বিনিয়োগ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনায় দু’দেশের মধ্যকার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দু’দেশের চমৎকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে উচ্চ স্তরে পৌঁছাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি ওয়াশিংটনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সম্ভাব্য ঢাকা সফরের কথা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।