পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরপরই দেশের আমদানি খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। কেবল নভেম্বর মাসেই আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং করোনার পরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কারখানাগুলোতে নতুন যন্ত্রাংশ আমদানিতে চাপ বাড়তে থাকায় বেড়েছে আমদানি ব্যয়।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি দেশীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছে। তবে ডলার ব্যয়ের নামে অর্থপাচারের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর ৫ মাসে ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর আগের বছরের একই সময়ে আমদানিতে খরচ হয়েছিল ২ হাজার ১৮৮ কোটি ডলার। আর ২০১৯-২০ সালের জুলাই-নভেম্বর সময়ের আমদানি ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৯ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসের আমদানিতে পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম পণ্যে ১০১ শতাংশ, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালে ৪৮ শতাংশ করে এবং মূলধনি যন্ত্রে ৩০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি বিদেশি ওষুধের আমদানি খরচও বেশ বেড়েছে।
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বভাবতই বেড়েছে মার্কিন ডলারের চাহিদা। ব্যবসায়ীদের প্রতিটি ডলার কিনতে হচ্ছে ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। অন্যদিকে খোলাবাজারে ডলার বিμি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। এদিকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দিনকে দিন কমছে রিজার্ভের পরিমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।