Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রীরা কী করছেন, প্রশ্ন সুরঞ্জিতের

প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : মন্ত্রীরা কী করছেন? এ প্রশ্ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের। তিনি প্রশ্ন করেছেন, সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকেই কেন সমাধান করতে হবে? সরকারের বাঘামন্ত্রী, আমলামন্ত্রী, সিংহমন্ত্রী ছাড়াও রাবিশ-খবিশ তো আছেনই। বেতন কাঠামো নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল করতে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকেই উদ্যোগ নিতে হওয়ায় সরকারের মন্ত্রীদের ওপর এমন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। গতকাল রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজকে একটি সমাধানে পৌঁছাবে এবং সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান আসবে বলে আমরা আশা করছি; এতে জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ সব সময়ই সংবেদনশীল বলে দাবি করেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম মনসুর আলীর ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির সমালোচনা করে সভায় সুরঞ্জিত বলেন, তারা একটি ক্ষমতা ও ষড়যন্ত্রধর্মী রাজনৈতিক দল। এর জন্যই কখনও পথ হারাচ্ছে, কখনও পথে আসছে। বিএনপি এখন নানা সঙ্কটে আছে। কোনটি আসল বিএনপি কোনটি নকল সেটা এক্স-রে করেও বের করা সম্ভব নয়। এমআরআই করতে হবে। ক্ষমতা ছাড়া তাদের কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে পুলিশের জন্ম। এর জন্য আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের কিছু কিছু ঘটনা আমাদের অনেক পীড়া দেয়। সেবামূলক অবস্থান থেকে পুলিশের বিচ্যুতি হয়েছে এটা আমাদের বিব্রত করে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তবে এ ব্যাপারগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক।
শহীদ মনসুর আলীর স্মৃতিচারণ করে জ্যেষ্ঠ এ রাজনীতিবিদ বলেন, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অত্যন্ত মেধাবী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তার জীবনে কোন সেকেন্ড ক্লাস নেই, সব ফার্স্ট ক্লাস। বাঙালি জাতি তাকে চিরদিন স্মরণে রাখবে।
সভায় টিআইবিকে ‘পোশাক শিল্পের শত্রু’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেন, কিছু সংগঠন বিদেশের টাকা খেয়ে নানা বিষয়ে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে, টিআইবিও তাই করেছে। টিআইবিতে কাজ করা মুখোশধারী সুশীলরা দেশের শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পোশাকশিল্পকে ধ্বংস করতে চাচ্ছেন।সংস্থাটির আর্থিক উৎস খুঁজে বের করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, শুধু জ্বালাও-পোড়াওকারী নাশকতাকারীদের নয়, এসব ছদ্মবেশী দেশের শত্রুদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
হাসান মাহমুদ বলেন, মনসুর আলীদের মতো নেতারা পাশে ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন। তিনি শিখিয়ে গেছেন, শুধু অর্থ, ঘাম আর সময় ব্যয় নয় প্রয়োজনে দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনও দিতে হয়। মনসুর আলীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক টুকু ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আব্দুল মান্নান বক্তব্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রীরা কী করছেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ