পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাধারণ মানুষকে টাকার বিনিময়ে কারাবাসের অনুভূতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য নাজিম উদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার ভবনকে প্রস্তুত করা হবে। এছাড়া জাতীয় জেলহত্যা দিবসকে সামনে রেখে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক এ কারাগার। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের ভেতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় জেলহত্যা দিবসকে সামনে রেখে এখানে আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ১ নভেম্বর বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এ প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার দুর্লভ ১৪৫টি আলোকচিত্র থাকবে। ২ নভেম্বর থেকে প্রদর্শনী সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ১শ’ টাকার বিনিময়ে যে কেউ প্রর্শনীটি দেখার জন্য কারাগারে ঢুকতে পারবেন। একজন দর্শনার্থী সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা প্রদর্শনী দেখতে পারবেন। টিকিট বিক্রির অর্থ মূল কারা কর্তৃপক্ষের ফান্ডে যাবে না। কাশিমপুর মহিলা কারাগারে প্রায় ৪৪ জন শিশু আছে, যারা ডে কেয়ার সেন্টারে থাকে। তাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম কেনার জন্য এই টাকা ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া প্রদর্শনী সফল হলে সর্বসাধারণকে এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখার সুযোগ করে দিতে সপ্তাহে দু’দিন করে টিকেটের মাধ্যমে এই কারাগারে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারটির ২২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, কারাগারের ভেতর থাকতে কেমন লাগে, সে ধরনের একটি ধারণা দেয়ার জন্য ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশে একটি প্রকল্প রয়েছে। আমাদেরও সে ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই পুরাতন কারাগার ভবন পরিদর্শন আসবেন। তিনি পরিদর্শনের ১৫ দিন পর থেকেই ফিল ফর প্রিজন প্রজেক্টের জন্য কাজ শুরু হবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে অর্থের বিনিময়ে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকতে পারবে সাধারণ মানুষ।
গত জুলাই মাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুরোনো কারাগারকে এখন জাদুঘরে পরিণত করার কথা ভাবছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, জাদুঘর স্থাপনের জন্য একটি উন্মুক্ত ডিজাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে বিচারকেরা যে ডিজাইন চূড়ান্তভাবে করবেন, সেটিই এখানে কার্যকর করা হবে। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় তিনি অনেকবার এখানে এসেছেন। তারও অনেক স্মৃতি আছে, কিছু ইতিহাস জানা আছে। কোন কোন ভবনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে, সংরক্ষণ করতে হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। তার পরিদর্শন শেষেই কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।