পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতীয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের চীনা পণ্য বয়কটের ঘোষণার পর পাল্টা হুমকি দিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে হুমকি দিয়ে জানায়, চীনা পণ্য বয়কট করলে ক্ষতি হবে ভারতেরই। কারণ তাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্ক ধাক্কা খাবে এবং ভারতে চীনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু চীনের তেমন কোন ক্ষতিই হবে না।
চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের মোট রফতানির মাত্র ২ শতাংশ আসে ভারতের বাজারে। সুতরাং ভারত পণ্য বয়কট করলে চীনের খুব বেশি কিছু যাবে আসবে না। চীনা পণ্য বয়কটের ফলে ভারতকেই ভুগতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ভাবে চলতে থাকলে ভারতে চীনের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তা উভয় দেশের মানুষের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে না।
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বেশ কয়েকটি হামলার ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসেবে পাকিস্তানকে একঘরে করতে চায় পাকিস্তান। কিন্তু ব্রিকস সম্মেলনে চীন ভারতের এ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়িয়েছে। চীনের অবস্থান হলো, তারা সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনও দেশ বা ধর্মকে জড়াতে চায় না। চীনের এ অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিভিন্ন অংশে চীনা পণ্য বয়কটের দাবি ওঠে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, দীপাবলির বাজারে চীনা পণ্যের বিক্রি ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ভারতের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার দিল্লির সদর বাজার চীনা পণ্য বিক্রি ২০ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। সদর বাজারে চীনা সামগ্রী সারা বছরই বিক্রি হয়। -সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।