পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র (হাতি মার্কা) মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার এবং হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতী মাসুমবিল্লাহর সমর্থনে গতকাল নির্বাচনী গণসংযোগে করেছেন। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, যখন শামীম ওসমান তোলারাম কলেজের ভিপি, ছাত্রনেতা। তখন আমি নারায়ণগঞ্জে একজন ডাকসাইটে শ্রমিক নেতা।
আমি শামীমের পায়ে হাঁটি না, আমি নিজস্ব জনশক্তিতে হাঁটি। তিনি বলেন, তাকে (আইভী) নাকি কেউ সাপোর্ট দেয় না, এখানে আমি কি করব? নিজেদের এমপি, দলের নেতাকর্মীরা তাকে সাপোর্ট না দিলে আমার করার কিছু নেই। সিটি করপোরেশনে অতিরিক্ত তিন-চারগুণ কর দিতে গিয়ে তারাও ভুক্তভোগী। আমি তো সবার ভোট চাইব। প্রধানমন্ত্রী তিনবার আমার কথা বলেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হলে সবার আগে তার কাছে গিয়ে ভোট চাইতাম। আইভী প্রার্থী না হলে আইভীর ভোটও চাইতাম।
গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নির্বাচনী প্রচারকালে তিনি (তৈমূর) শামীম ওসমানের প্রার্থী এবং আইভীকে শামীম ওসমান সমর্থন দেয়নি বলে আইভীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের একথা বলেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তৈমূর বলেন, স্থানীয় ব্যবস্থা সরকার জাতীয় সরকার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি প্রশাসনের ওপর কখনও নির্ভর করিনি, কখনো করবও না। নায়ায়গঞ্জের মানুষের উপরই আমার নির্ভরতা।
তিনি বলেন, আমি জনগণের প্রার্থী। জনগণের চাহিদার কারণেই আমাকে প্রার্থী হতে হয়েছে। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন ১৮ বছর যাবৎ এক ব্যক্তির হাতে। এতে ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট শক্ত হয়েছে, কিন্তু নগরবাসীর সেবা বাড়েনি। ফলে নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। এখানে একেক জন একেক দল করে। কিন্তু ডান, বাম সবাই আমার পাশে আছে। নারায়ণগঞ্জের নাগরিকদের জিম্মাদারি কার কাছে হেফাজতে থাকবে এটা দেখার দায়িত্বও তাদের। সে হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি বিএনপি কি বিএনপি না এটা নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেন। আমাকে বিএনপি বহিষ্কার করেনি। তারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে সবদলের সমর্থন যেন আমি পাই।
এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, উনিতো শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমানের প্রার্থী। উনি বিএনপির প্রার্থী নন, স্বতন্ত্রও নন। গত শুক্রবার বন্দরে সেলিম ওসমানের জাতীয় পার্টির (জাপা) চারজন চেয়ারম্যানকে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। এতেই সারা নারায়ণগঞ্জে যে গুঞ্জন ছিল ‘তৈমূর আলম খন্দকার গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট’ তা প্রমাণ হয়েছে।
গতকাল শনিবার বন্দরের ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলি চৌরাপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে নেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন আইভী। তিনি বলেন, শামীম ওসমান সেলিম ওসমান দুই ভাইয়ের ক্যান্ডিডেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি জনতার প্রার্থী নন, বিএনপির প্রার্থীও নন। দলের সমর্থন প্রসঙ্গে আইভী বলেন, আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হল কিনা জানি না। সব নেতাকর্মী আমার সঙ্গে আছে। প্রতিটা ওয়ার্ড লেভেল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা আমার পাশে আছে। একমাত্র তিনি (শামীম ওসমান) বাইরে গিয়ে তার লোকজনকে তৈমূর সাহেবের সঙ্গে দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, হাই কমান্ড গত শুক্রবার সব দেখেছেন। এখানে অনুষ্ঠান হয়েছে, পত্রিকায়ও খবর এসেছে। তারা দেখেছেন এবং এ বিষয়ে দেখবেন। আমি নির্বাচন করি জনতার শক্তিতে। জনতাই আমার শক্তি, দল আমার মনোবল। এসব মিলিয়ে আমি নির্বাচন করি। আমি কোন গডফাদারের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন করি না। আমি বলেছি গত শুক্রবার জাপার চেয়ারম্যানরা প্রকাশ্যে নেমেছেন। এতেই প্রমাণ হয় কারা তার (তৈমূর) সঙ্গে আছেন, কারা তাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন।
গতকাল বন্দর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে যত জল্পনা কল্পনাই হোক না কেন, দিন শেষে ভোট শান্তিতেই হয়। আশা করি ১৬ তারিখ এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। মানুষ আমাকে ভোট দেবে এবং আমি জয়ী হব। নাসিকে দুইবার নির্বাচিত এই সাবেক মেয়র বলেন,তার (তৈমূর আলম) চারপাশে বিএনপির লোকজন আছে। গত শুক্রবার জাতীয় পার্টির (জাপা) লোকজনও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের কথিত গডফাদার শামীম ওসমানের লোকজনরাও তার পাশে আছে। যেহেতু নির্বাচনটা দলীয় প্রতীকে হচ্ছে তাই তিনি (তৈমূর আলম) বিএনপির প্রার্থী হলে ধানের শীষ প্রতীক পেতেন। তিনি যেহেতু ধানের শীষ পাননি, সেহেতু তিনি বিএনপির প্রার্থী নন। তিনি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের প্রার্থী।
হাতপাখার সমর্থনে প্রচারণা : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আলেম ওলামা ব্যবসায়ী চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী যুবসমাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী মাসুমবিল্লাহর সমর্থনে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৬৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. ইবরাহীমের নেতৃত্বে প্রচারণায় মাঠে নামেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্পটে তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নাগরিক সমাজের ব্যানারে গণসংযোগ করেন। এসময় ঢাকা সিটির আলোচিত কাউন্সিলর হাজী মো. ইবরাহীম বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ অত্যন্ত সৎ ও কর্তব্যনিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব। আমরা প্রত্যাশা করছি তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জনগণ যথাযথ নাগরিক সেবা ভোগ করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।