পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখন থেকে বাসায় বসে মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বই কিংবা খাবারের অর্ডার দেওয়া মতো সহজ জমির খতিয়ান (পর্চা) কিংবা ম্যাপ পাওয়া। খতিয়ান কিংবা ম্যাপ পেতে মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ঢুকেও আবেদন করতে হবে না। ডিজিটাল সার্ভিস গ্রহণে স্মার্ট ফোন থাকার বাধ্যবাধকতাও আর থাকছেনা সেজন্য। গতকাল শনিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, যেকোনো ফোন থেকে শুধু ১৬১২২ নম্বরে ফোন করলেই হবে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভূমিসেবা হটলাইন অপারেটরই গ্রাহকের হয়ে বাকি কাজ করে দিবে। ১৬১২২তে ফোন করে ৪ মিনিটেই খতিয়ান কিংবা মৌজা ম্যাপের আবেদন করা যাবে, দেওয়া যাবে এসবের ফি। একইভাবে ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করা যাবে। ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায় এবং যেকোনো ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে।
১৬১২২ নম্বরে ফোন করা ছাড়াও জমির মালিক নিজেই আবেদন করতে পারেন। ভূমিসেবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে গিয়ে, মোবাইলের ভূমিসেবা অ্যাপ দিয়ে কিংবা ইউডিসিরে সহায়তায়। ঘরে বসেই ফোন করে যেভাবে জমির খতিয়ান কিংবা জমির ম্যাপ যেভাবে পাবেন। আবেদনকারী ১৬১২২ ফোন করে এনআইডি সহ জমির তথ্য প্রদান করার পর কল সেন্টার আবেদনকারীর পক্ষে খতিয়ান কিংবা জমির ম্যাপের আবেদন দাখিল করবে। এরপর আবেদনকারী তার মোবাইলে একটি টোকেন পাবেন। আবেদনকারী টোকেন নম্বরটি দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ফি প্রদান করলে তিনি মোবাইলে আবেদনের আইডি ও ডেলিভারির তারিখ পাবেন। নির্দিষ্ট তারিখে বাংলাদেশ ডাকবিভাগের প্রতিনিধি আবেদনকারীর ঠিকানায় খতিয়ান তথা পর্চা কিংবা জমির ম্যাপ পৌঁছে দিবে। এছাড়া ভার্চুয়াল রেকর্ডরুম থেকে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো নাগরিক খতিয়ান (পর্চা) দেখতে পারবেন। সার্টিফাইড কপি কাউন্টার থেকে ডেলিভারির জন্য কোর্ট ফি ৫০ টাকা। ডাকযোগে নিজ ঠিকানায় খতিয়ান ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত ৪০টাকা দিতে হবে।
এসব সেবামূহের ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ হ্রাস পাবে এবং ই-পর্চা, ই-রেজিস্ট্রেশন, এলডি ট্যাক্স সিস্টেম, ভার্চুয়াল শুনানি সিস্টেমের সাথে সংযোজন করা (ইন্টিগ্রেশন) হবে। এছাড়া, নাগরিকদের এখন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে তাৎক্ষণীক সরকারি কোষাগারে ফি জমা দেওয়ার এবং ভূমি অফিসে না গিয়ে অনলাইনে ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ (ডিসিআর) সংগ্রহ করার সুযোগ হয়েছে। এতে মানুষের অর্থ-খরচ ও ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব পাবে। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন মিলনায়তনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী কর্তৃক ডাকযোগে ভূমিসেবা,ভূমিসেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের উদ্বোধন করার মধ্যে দিয়ে উপর্যুক্ত ভূমিসেবা সমূহ চালু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।