পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমি নির্বাচনের মাঠে সমান সুযোগ পাচ্ছি না : তৈমূর
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র (হাতি মার্কা) মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার গতকাল নির্বাচনী গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ভোটাররা আমাকে অনেকদিন যাবত চেনে। আমি অন্যায়ও, অত্যাচার করি না। চাঁদাবাজিও করি না। তাই ভোটাররা আমাকেই বেছে নেবে। ভোটারদের বলব নারায়ণগঞ্জে যদি আপনারা শান্তিতে থাকতে চান, কোনো শঙ্কায় না থেকে আমাকে ভোট দেন। নৌকা জিতলে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
গতকাল নাসিক ১১ নং ওয়ার্ডের তল্লা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, পোস্টার ব্যানার দেখে মানুষ ভোট দেয় না। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরে আমার কোনো পোস্টার ছিল না। নারায়নগঞ্জের মানুষ কিন্তু আমাকে ভোট দিয়েছিল। ২০১৬ সালে ধানের শীষের প্রার্থীর সবচেয়ে বেশি পোস্টার ছিল, আমার পোস্টার ছিল না। এইবারও আমার পোস্টার কম। আমি এ ধরনের অপরাজনীতি করি না। আমি সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে চলাফেরা করি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই ভোটারদের চাহিদা বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকায় যাচ্ছি তাদের চাহিদা শুনছি। তাদের চাহিদা পূরণ করাই আমার টার্গেট। যত রটে তত ঘটে না। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির যে ধারাবাহিকতা, এখানে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, প্রোপাগান্ডা রটানো হয়। কিন্তু অবশেষে সব ভোট সুন্দর হয় পরিবেশ সুষ্ঠু থাকে। আমি আশা করি এখানেও তাই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি কোনো ট্যাক্স বাড়াইনি। আমি অনেককে বলেছি ট্যাক্সের কাগজটা নিয়ে আসেন। আমি যদি ট্যাক্স বাড়াতাম তাহলে কী এই দুই তিন বছরে আমাকে কী কেউ অভিযোগ করত না। এখন কেন এটা ব্যাপকভাবে প্রচারণা করা হচ্ছে। আমার যে ক্ষমতা বিধি মোতাবেক পনেরো পার্সেন্ট মওকুফ করা, কেউ আসলে আমি সঙ্গে সঙ্গে মওকুফ করে দেই।
এদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি নির্বাচনের মাঠে সমান সুযোগ পাচ্ছি না। গতকাল নাসিকের বন্দরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে যাওয়ার সময় নবীগঞ্জ ঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি সবার সমর্থন আশা করি। আমার দল ভালো কাজ করেছে। আমাকে নৌকার ভোট পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি নির্বাচনের মাঠে সমান সুযোগ পাচ্ছি না। আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এটিএম কামালকে দিয়ে আমি আজকে একটা অভিযোগ দিয়েছি। সেটা হলো রাস্তায় তারা বড় বড় গেট করছে। আমার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। সকাল থেকে তারা মাইকিং শুরু করে। বড় বিলবোর্ড করছে তারা। এইসব অভিযোগ দিয়েছি।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আরও বলেন, নাসিকে সাড়ে পাঁচ লাখের মতো ভোট আছে। ক্যান্ডিডেট হিসেবে আমি সবার ভোট চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তৈমূর আলম খন্দকার জেতার মতো লোক। তিনি বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেছেন। অতএব আমার একটা আত্মবিশ্বাস আছে। আমি সকলের ভোট চাই। কে ভোট দেবেন কে দেবেন না এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ ভোট দিলে আপনি বাধা দিতে পারবেন না। আর কেউ না দিলে আমি তাকে জোর করতে পারবো না। এটা সম্মানিত ভোটারদের ইচ্ছা। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। এই বিশ্বাস নিয়ে আমাকে চলতে হবে। আমার বিশ্বাস লোকে আমাকে ভোট দেবেন। বিগত পঞ্চাশ বছরে আমার কোনো গণবিরোধী ভ‚মিকা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় প্রতীকে পছন্দ করেন না। এটা বর্তমান সরকার করেছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য। কিন্তু জনগণ স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয়ভাবেই চিন্তা করেন।
তিনি বলেন, বন্দরে তারা মঞ্চ করে জনসভা করছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। ইভিএম নিয়ে পুরো দেশবাসী শঙ্কিত। ইভিএমে রেজাল্টটা রদবদল করা যায়। এটা সাধারণ মানুষই বলে। সাধারণ মানুষ যে জিনিসটা পছন্দ করে আমি সেটার পক্ষে। নির্বাচন কমিশনকে আমার নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।