Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতা কমছে পিপিপি কর্তৃপক্ষের : বঙ্গোপসাগরে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে পর্যালোচনার প্রস্তাব

মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৬ পিএম

 সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ আইন সংশোধন হচ্ছে। সংশোধিত আইনে এই কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কমছে। নতুন আইন চ‚ড়ান্ত হলে পিপিপি কর্তৃপক্ষকে অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। প্রবিধান করার ক্ষেত্রেও নিতে হবে অনুমতি। আর পিপিপি কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২১’র খসড়ায় চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পিপিপি আইনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। উন্নয়ন কাজে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে পিপিপি বাস্তবায়নে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পিপিপি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান। এতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন একজন সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষ আইনের ৪, ৮, ৯, ১০, ১১, ২৩, ২৬, ৩৬, ৩৭, ৪১ ও ৪৫ ধারাগুলো হয়ত প্রতিস্থাপন হবে অথবা বিলুপ্ত হবে। বোর্ড অব গভর্নসের সভায় সব সময় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। তিনি না থাকলে ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে যেন সভা করা যায়, তেমন বিধান যোগ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, আগের আইনে পিপিপি কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে ডিক্লেয়ার করা ছিল। কিন্তু এটি তো সংবিধিবদ্ধ একটা অর্গানাইজেশন। সুতরাং তারা সরকারি অর্গানাইজেশন হিসেবে বিবেচিত হবেন না। কিছু কিছু বিষয় ছিল যে, ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়গুলো তাদের বোর্ডই করবে। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, যেহেতু সরকার টাকা দিচ্ছে সরকারের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তারা কাজকর্ম করবে। বর্তমান আইনে পিপিপি অফিস লেখা রয়েছে, সংশোধিত আইনে তা পিপিপি কর্তৃপক্ষ করা হচ্ছে। সংশোধনের কারণে এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা কমছে কি না- প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, না, না। কারণ হলো প্রজেক্টগুলো প্ল্যানিং কমিশনে যাবে না। সুতরাং একনেকের অনুমোদন, এগুলো কিছু লাগবে না। শুধু সিঙ্গেল সোর্সে থেকে হলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। আবার টেন্ডারে হলে ক্রয় কমিটিতে যেতে হবে। পিপিপি কর্তৃপক্ষই অনুমোদন দেবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ২০২০-২০৩০ এর আওতায় বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। পরিকল্পনাটি প্রস্তাব আকারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এটি আরো পর্যালোচনা করতে বলেছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলেও তাতে অনুমোদন দেয়া হয়নি। আরো পর্যালোচনা করে আবারো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পে আজ অনুমোদন দেয়া হয়নি। অবজারভেশন দিয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে আলোচনার পরে এটিকে আরেকটু রিভিউ করতে বলা হয়েছে। কারণ, একটি বিষয় হলো, যেকোনো নীতি, স্ট্র্যাটেজি বা চুক্তিতে যদি আর্থিক বিষয় থাকে, তাহলে ফাইন্যান্সের একটি ভেটিং নিয়ে আসতে হবে। এতে ফাইন্যান্সের ভেটিং ছিল না। সেজন্য কিছু কিছু অবজারভেশন আছে। সেগুলো দেখে আর ফাইন্যান্সের কাছ থেকে ভেটিং নিয়ে তারপর আবার উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, আর্থিক নীতি ও কাঠামোর মধ্যেই পরিকল্পনাটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তার একটি স্ট্র্যাটেজি দেয়া হয়েছে। এখানে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়টিও আনা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ