পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৪ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি ৪০ জন ছাত্রের সবারই শিক্ষকের মৃত্যুর সাথে কম বেশি সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ৪৮ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পর্যালোচনা শেষে চারজন ছাত্রকে আজীবন বহিস্কারসহ ৪৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। যা গতকালের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে- সাদমান নাহিয়ান সিজান, হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মো. কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও রিয়াজ খান নিলয়কে। এছাড়া দুই শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে মো. তাহমিদুল হক ইশরাক, মাহমুদুল হাসান, মো. সাদমান সাকিব, মাহিন মুনতাসির, রাগিব আহসান মুন্না, মীর জামিউর রহমান ও রুদ্রনীল সিংহ শুভ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে আনিকুর রহমানকে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে এই শাস্তি আপাতত স্থগিত থাকবে। ভবিষ্যতে কোন অপরাধ বা অসদাচারণ প্রমাণিত হলে এই শাস্তি আপনাআপনি বলবৎ হবে এসব ছাত্রের বিরুদ্ধে- ফয়সাল আহমেদ রিফাত, ইমরান হোসেন আউয়াল, মো. খালিদ সাউফুল্লাহ সুভ্র, মো. ফাইয়াজ রহমান, নুর মোহাম্মদ, মো. নাইমুর রহমান অন্তু, মো. সাবিদ জোয়াদ্দার, মো. মাহবুবুর রহমান রাফি, মো. আতিকুর রহমান, মো. সাদিকুর ইসলাম, নাজমুস সাকিব সিফাত, মো. গোলাম কিবরিয়া, ওসমান ফারুক, সাগর তরফদার, প্রান্ত কর্মকার, সাফাত হাসান, মানিক কুমার সরকার, মো. আমিনুর ইসলাম, মো. মুহিদবীন হোসেন সরদার, মো. ইমতিয়াজ আহমেদ, সাফায়েত মাহবুব ও মো. আনোয়ার হোসেন সাকিব।
দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে আহসানুল আবেদীন, কবির হোসেন, মো. শুভ মন্ডল, শাহরিয়ার আহমেদ মুশফিক, ফয়সাল কবির ফাহিম, শাফিন আহমেদ অনন্ত, মো. হান্নান ইসলাম, হাফিজ সরদার, সানজিদুল ইসলাম ও মো. সাদাফ হেলাল।
গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে কুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন মারা যান। তার মৃত্যুর পর সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ তার অনুগতরা দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা শিক্ষকের রুমে অবস্থান করেন। পরে কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সিন্ডিকেটের সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।