পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ করা ৮৪ জনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
অমিত দাশগুপ্ত আদেশের বিষয়ে বলেন, প্রার্থীর ব্যক্তিগত রিপোর্ট নেতিবাচক হলে সে ক্ষেত্রে নিয়োগ পাবেন না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত রিপোর্ট বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। কেননা, কারও বিরুদ্ধে মামলা বা অন্য কোনো অভিযোগ থাকতে পারে। তখন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ বঞ্চিত ৮৪ জন ২০২০ সালে পৃথক রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে একই বছরের বিভিন্ন সময়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। নিয়োগের জন্য প্রকাশিত গেজেটে রিট আবেদনকারীদের নাম বাদ দেয়া কেন বেআইনি হবে না এবং তাদের নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে জানতে চাওয়া হয়েছিল। গতকাল রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রায়ের পর অ্যাডভোকেট মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, তিনটি বিসিএসে লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৪ জনকে চিকিৎসক, প্রশাসন, শিক্ষা, পুলিশসহ বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তবে কোনো কারণ ছাড়াই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নিয়োগের গেজেটে তাদের নাম বাদ পড়ে। এর বৈধতা নিয়ে ৩৬তম বিসিএসের ১০ জন, ৩৭তম বিসিএসের ৩৮ জন ও ৩৯তম বিসিএসের ৩৬ জন পৃথকভাবে চারটি রিট করেন। এতে হাইকোর্ট ওই তিনটি বিসিএসে সুপারিশ প্রাপ্ত ৮৪ জনকে দ্রুততম সময়ে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ রায়ের ফলে রিটকারীরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন এবং তাদের নিয়োগের পথ সুগম হলো বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।