পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটের হার দেখে বোঝা যাচ্ছে ৮ নভেম্বর তার জয় অনেকটা নিশ্চিত। গতকাল প্রকাশিত অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন রাজ্যে ইতোমধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এসব ভোটে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি এমন তথ্যও জানিয়েছে এপি। ৮ নভেম্বরের নির্বাচনী দিনের আগে ধারণা করা হচ্ছে সাড়ে চার কোটি ভোটার, যা মোট ভোটের ৪০ শতাংশ, তাদের ভোট কাস্ট করে ফেলবেন। আগাম ভোটের এই হার ২০১২ সালের নির্বাচনের চেয়ে বেশি। অন্যান্য জরিপ এবং আগাম ভোটসংক্রান্ত এসব তথ্য বলছে, ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে তার জন্য ‘অলৌকিক কিছু’ ঘটতে হবে। অন্যথায় তার কোনো সুযোগ নেই।
নির্বাচনের দিনে জাভিটস সেন্টারে থাকবেন হিলারি
নির্বাচনের দিনে হিলারি ক্লিনটন অবস্থান করবেন নিউ ইয়র্কের জাভিটস সেন্টারে। বলা হয়, তিনি গ্লাস সিলিং ভেদ করে যাবেন। হয়তো সেই ধারণাকে মাথায় রেখে বেছে নিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে জ্যাকব কে জাভিটস কনভেনশন সেন্টার। এই সেন্টারটি কাচের তৈরি। বাইরে থেকে দেখলে এ সেন্টারটির মাটি থেকে ছাদ পর্যন্ত পুরোটাই কাচে ঘেরা। যদি বিজয়ী হতে পারেন হিলারি সেদিন কি এই কাচের তৈরি সিলিং বা ছাদ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে তাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে! জানান দেবে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি সব বাধা পেরিয়ে সফল! বুধবার হিলারি ক্লিনটনের একজন স্টাফ ওই সেন্টারটি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ভেন্যুকে প্রতীকী অর্থে ব্যবহারের কথা লিখছেন সামাজিক মিডিয়ায়। একজন সামাজিক মিডিয়ায় লিখেছেন, হিলারি ক্লিনটন একজন সফল ফিগার হিসেবে এই গ্লাস সিলিংকে ভেদ করবেন। এটা যেন আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করি এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো সংশয় থাকবে না কারো। অন্যদিকে হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ওই জাভিটস সেন্টারটি নির্মাণের অংশ হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিটি ও রাজ্য ওই প্রকল্পটি দেখাশোনার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কথা তিনি লিখেছেন তার ‘দ্য আর্ট অব দ্য ডিল’-এ। ওই সেন্টারটি নির্মাণে তার পরিকল্পনা ও পছন্দ কিভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল তাও ওই বইয়ে তুলে ধরেছেন তিনি।
মোদির স্লোগান ‘চুরি’ করে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা
অব কী বার মোদি সরকার। ২০১৪ লোকসভা ভোটের সময় এই স্লোগানটা রেডিও-টিভি-নেটে কতবার দেখেছিলেন/শুনেছিলেন! ঠিক ততবারই এই স্লোগানটায় নিজের নাম বসিয়ে আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের মন জিততে টিভিতে চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সলিল কুমার নামের এক প্রবাসী ভারতীয় ট্রাম্প সমর্থক নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। মার্কিন টেলিভিশনে নাকি দিনে অন্তত ২০ বার দেখানো হয় ছোট্ট বিজ্ঞাপন, যেখানে বলা হয়, অব কী বার ট্রাম্প সরকার (“অন শর নধধৎ ঞৎঁসঢ় ংধৎশধৎ”).
এই বিজ্ঞাপনে নাকি দেখানো হয়, ‘ট্রাম্পকে জেতালে ভারতীয় ও হিন্দু সমাজ হোয়াইট হাউসে সত্যি একজন বন্ধু পাবে। আমরা উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করব। ‘ট্রাম্প নিজে হিন্দিতে নাকি তাকে ভোট দিয়ে জেতানোর কথা বিজ্ঞাপনে বলেছেন। তবে এতসবের পরও প্রবাসী ভারতীয়দের ভোট ট্রামমুখী হবে কি না তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। সূত্র : এপি, সিএনএন, নিউইয়র্ক পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।