পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্ক থেকে এনা : নিউইয়র্কের বাফেলোতে সড়ক দুর্ঘটনায় তাশফিক তোফা নামে এক বাংলাদেশী শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বয়স ছিলো মাত্র ৫ বছর।
শিশুটির আত্মীয় মিজানুর রহমান মিজান জানান, তাশফিকের তোফার বাবা এক সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে নিউইয়র্কে থাকতেন। প্রায় ৪ বছর আগে তিনি নিউইয়র্ক থেকে পরিবার নিয়ে বাড়ি ক্রয় করে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাফেলোতে চলে যান। তাশফিক তোফার মামা হান্নান হাজীও বাফেলোতে থাকেন। তোফার মামার বাসার দূরত্ব তাদের বাসা থেকে মাত্র ৫/৭ মিনিটের রাস্তা। ঘটনার দিন ২৫ অক্টোবর তোফা তার মায়ের সাথে মামার বাসায় গিয়েছিলো। বিকেলে নিজেদের বাসায় ফিরে আসছিলেন পায়ে হেঁটে। তোফার মা রাস্তা ক্রস করছিলেন ছেলের হাত ধরে। এমন সময় দেখতে পান অপর দিক থেকে একটি গাড়ি তাদের দিকে ছুটে আসছে। নিজের দিকে গাড়ি আসছে দেখে তাশফিক তোফা তার মায়ের হাতে থেকে ছুটে দৌড় দেয়। দৌড় দিয়ে তোফা গাড়ি নিচে চলে যায়। হতবিহ্বল মা সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলেন। পুলিশ কল করা হলে পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স এসে তোফাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসার পর তোফা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ দিকে তোফাকে হারিয়ে তোফার মা গাপলপ্রায়। তিনি শুধু প্রলাপ বকছেন। কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারই আদরের সন্তান, তার হাত থেকে ছুটে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে।
এ দিকে তাশফিক তোফার নামাজে জানাজা গত ২৬ অক্টোবর বাদ জোহর বাফেলো ইসলামিক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এবং নামাজে জানাজা শেষে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, তাশফিক তোফার বাবা তাশফিক তোফায়েলের দেশের বাড়ি বাংলাদেশে সিলেটের কুলাউড়ার বড়লেখা- জুড়ি এলাকায়। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বড় লেখা জুড়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাশফিক তোফায়েল স্ত্রী, ৩ বছরের মেয়ে, এক ভাই ও ১ বোনসহ বাফেলোতে বসবাস করছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।