পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর হয়ে কর্তব্য পালনের সময় নিহতদের স্মরণে গত বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এতে উচ্চারিত হয় ছয় বাংলাদেশীর নাম। তারা হলেন, আইভরি কোস্টে নিহত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মালিতে নিহত নীলকান্ত হাজং, মোতাহার হোসেন ও মোহাম্মদ সামিদুল ইসলাম, সুদানে নিহত মইনুল এ খান ও লাইবেরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুসারে, গত বছর জাতিসংঘের হয়ে কাজ করতে গিয়ে ৫০ দেশের ১২৯ জন নিহত হন। প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছর ধরে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আনুষ্ঠিকভাবে স্মরণসভার আয়োজন করছে জাতিসংঘ।
নিহত ব্যক্তিদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে স্মরণসভায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, বোমা বা বুলেট নয়, মানুষের চেতনার চেয়ে কিছুই শক্তিশালী নয়। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানা জাতির, নানা বিশ্বাসের লোকজন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেন। জাতিসংঘের নীল পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা যুদ্ধ-সংঘাত নিরসনে আত্মাহুতী দিয়েছেন, তাদের চেতনাই আমাদের শান্তি অন্বেষণে অনুপ্রাণিত করবে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি পিটার টমসন ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ভিটালি আই চারকিন উপস্থিত ছিলেন। অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কে এম আখতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবার ও কূটনীতিকদের সামনে নিহত সবার নাম পড়ে শোনানো হয়। এ সময় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ওই সময়ের মধ্যে নিহত ছয় বাংলাদেশীর নাম উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।