পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে ঘিরে রয়েছে ভাসমান বরফের স্তর, যা পুরো মহাদেশের বরফ ধরে রাখছে। এই বরফের স্তর মেরুর ক্ষয় রোধে এক ধরনের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এক নয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এই বরফের স্তর ক্রমেই গলছে। গত এক দশকে এই স্তরের পাতলা হওয়ার প্রবণতা অতিশয় উদ্বেগজনক। অন্তত স্যাটেলাইট চিত্র খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করে গবেষকদের তেমনটাই মনে হয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষকরা এটাও লক্ষ করেছেন, এ ব্যাপার অত্যন্ত দ্রুতহারে ঘটছে দক্ষিণ মেরুর পশ্চিমাংশে। পূর্বদিকে বরফের স্তর গলার চিত্রটি তত পরিষ্কার নয়।
এই গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আগের তুলনায় অন্তত ১৮ শতাংশ পাতলা হয়ে গিয়েছে বরফের স্তর। এই গবেষণায় ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মেরুবলয় ঘিরে ভাসমান বরফের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফল জানিয়েছে, বর্তমানে অ্যান্টার্কটিকা ঘিরে ভাসমান বরফের স্তরগুলোর পুরুত্ব গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার। অ্যান্টার্কটিকা মূল উপকূলভাগে পৌঁছানোর আগে মহাদেশজুড়ে কোনও জায়গায় এই স্তর কয়েকশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। গবেষকদের আশঙ্কা, ভাসমান বরফের স্তর গলে গিয়ে আরও পাতলা হলে অ্যান্টার্কটিকার স্থায়ী হিমবাহগুলো অতিসহজেই মেরু সাগরে নেমে যাবে। সেখানে সেগুলো আরও দ্রুত গলে গেলে এই মহাদেশের কোটি কোটি বছর আগের চেহারাটি ফুটে বেরিয়ে আসবে। আর তখন সমুদ্রের জলস্তর উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাবে।
এই গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ মেরুর বরফ স্তরের পরিবর্তনের হার ছিল সামান্য। কিন্তু তার পর থেকে বরফের গলে যাওয়ার প্রবণতা বেশ বেড়ে যায়। গবেষণার শুরু হওয়ার সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলেছে অতিদ্রুত হারে। পক্ষান্তরে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার বরফের পুরুত্ব মাঝে কিছুটা বাড়লেও ২০০৩ সাল থেকে সেগুলো দ্রুত গলতে থাকে। সব মিলিয়ে গবেষণার আওতাভুক্ত সময়কালের মধ্যে ভাসমান ওই বরফ গলে মেরুবলয় প্রায় ১৮ শতাংশ পাতলা হয়েছে।
১৯৯৪ সালের সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতির তুলনা করে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফার্নান্দো পাওলো বলেন, ‘১৮ বছরে বরফের স্তর ১৮ শতাংশ কমে যাওয়া অবশ্যই একটি বড় মাপের পরিবর্তন। প্রতি বছরে যদি এই হারে অর্থাৎ এক শতাংশ করেও তা গলে যেতে থাকে, তবে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা কঠিনতর হয়ে দাঁড়াবে’। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।