Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নতুন বছরে ৫ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০২২ সালে নতুন বছরে সরকারের সামনে পাঁচটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণ, চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য, শ্রমবাজার উন্মুক্ত ও টিকা পাওয়ার চ্যালেঞ্জ অন্যতম।
রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণ: ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে কয়েক বছর ধরেই অন্যতম প্রধান ক‚টনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে এটি। নানামুখি চেষ্টা করেও সরকার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পাঠাতে পারেনি। ২০২২ সালেও অন্যতম প্রধান ক‚টনৈতিক চ্যালেঞ্জ হবে রোহিঙ্গা ইস্যু। বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে দেশে বিদেশে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এই সংকটের সমাধান হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: চলতি বছর ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবের সাবেক ডিজি ও বর্তমান ডিজিসহ ৭ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সে দেশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে এটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বড় ধরনের ক‚টনৈতিক চাপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক‚টনৈতিক আলোচনার অন্যতম ইস্যু হতে পারে এটা।
চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা: বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরেই বৃহৎ শক্তির দেশ চীন ও প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যের ক‚টনীতি বজায় রেখেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। একইসঙ্গে দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধনও খুব শক্তিশালী। তবে করোনার টিকার দাম আগে নিলেও যথা সময়ে টিকা না দিয়ে ভারত বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এদিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার চীন। পদ্মা সেতু ছাড়াও বাংলাদেশের অনেকগুলো মেগা প্রকল্প এবং অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের ভ‚মিকাই মূখ্য। তবে ভারত ও চীনের মধ্যে চীরকালের বৈরিতা চলছে। দুই দেশের বৈরিতা ইস্যুতে সজাগ বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশ এই দুই দেশের সঙ্গে ভারসাম্যের ক‚টনীতি রক্ষা করে চলেছে। ২০২২ সালেও ভারসাম্যের ক‚টনীতি বজায় রাখাটা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রম বাজার উন্মুক্ত: করোনা মহামারীকালে বিদেশে কর্মী প্রেরণ কমেছে। বিশেষ করে মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমিক নেয়া কমে গেছে। অন্যান্য অনেক দেশের শ্রম বাজারে ধস নেমেছে। আবার বিদেশ থেকে দেশে এসে অনেক কর্মী আটকা পড়েছেন। তারা এখন বিদেশে যেতে পারছেন না বিমানের ভাড়া তিনগুন বৃ্িদ্ধ করার কারণে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো শ্রম বাজার পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়নি। ২০২২ সালে শ্রম বাজার উন্মুক্ত করাটা ক‚টনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
টিকা ক‚টনীতি: করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে টিকা ক‚টনীতি জোরদার করেছে সরকার। প্রথম কেবল ভারতের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় খেসারত দিতে হয়েছে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনাও সম্ভব হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনো বিপুল পরিমাণ টিকার চাহিদা রয়েছে। বিদায়ী বছরে টিকা পাওয়া ছিল একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। ২০২২ সালেও টিকা পাওয়াটা ক‚টনৈতিক চ্যালেঞ্জ হতে পারে। ##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ