পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : বিদ্যুৎ সংযোগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার বিরুদ্ধে আবারো কঠোর ভূমিকা রাখলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে তাদের আত্মসাৎকৃত সমুদয় টাকা ফেরত নিয়ে সেগুলো বিদ্যুৎ গ্রহীতাদের মধ্যে ফেরত দেয়ার পর বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেছেন তিনি। মঙ্গলবার শেষ বিকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চড়ুইকোল এবতেদায়ী মাদরাসা মাঠে আয়োজিত গ্রাম বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার চড়ুইকোল, খাসখামার, রয়না ভরট, উপলশহর ও লক্ষীপুর গ্রামে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৩৪৮ জন গ্রাককের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন স্থাপন করে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন লোক সংযোগ দেয়ার নামে ১৫৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট এক লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনে তিনি আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আদায়কারীদের চাপ দেন। কিন্তু এতে গড়িমসি করায় দীর্ঘদিন যাবৎ সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকে। অবশেষে দুই বছর পর তারা সমুদয় টাকা আব্দুল কুদ্দুস এমপির হাতে তুলে দিলে তিনি মঙ্গলবার শেষ বিকালে অনুষ্ঠানের মঞ্চে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে সংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। চেয়ারম্যান মমিন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জিএম নিতাই কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামানিক, পৌর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, শাবান মাহমুদ ও আলতাফ মাহমুদ, ওয়ার্ড মেম্বার খোরশেদ আলম ও নুর ইসলাম সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে কোন উৎকোচ লাগে না। কেউ এ ব্যাপারে উৎকোচ চাইলে তাকে অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, তিনি ইতোপূর্বেও জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামে একইভাবে নেয়া টাকা এক যুবলীগ নেতার কাছ থেকে নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে ফিরিয়ে দিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।