পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পার্বত্য খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজ শুরু করছে জেলা প্রশাসন। এতে করে বদলে যাচ্ছে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য। আগামীতে আলুটিলায় বিনোদনের পাশাপাশি বৈচিত্রময় সৌন্দর্য উপভোগ করবেন পর্যটকরা।
জেলা প্রশাসন বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০ ফুট ওপরে পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলার অবস্থান। এখান থেকে খাগড়াছড়ি শহর, নদী, সর্পিল রাস্তা, পাহাড় ও সবুজ গাছপালা দেখে যায়। আছে প্রাকৃতিক গুহা ও ঝরনা। ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়িকে জেলা ঘোষণার পর শহরের প্রায় আট কিলোমিটার দূরে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রের প্রবেশমুখে ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বর্ণের আদলে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটকরা আলুটিলা ভ্রমণ করে দর্শনীয় স্থান দেখলেও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হতেন এতদিন।
রাতে থাকার জন্য গেস্টহাউজ কিংবা খাবারের হোটেল এবং শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র ছিল না। বিভিন্ন সময় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করা হলেও এবার সবচেয়ে বড় বাজেটের উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু, নন্দনকানন পার্ক, এএমপি থিয়েটার ও খুমপুই রেস্টহাউজ।
চলতি বছরের জুন মাস প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ঝুলন্ত সেতু, নন্দনকানন পার্ক ও রেস্টহাউজের কাজ শেষের দিকে। জেলা প্রশাসন জানায়, এএমপি থিয়েটারের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে। চলমান প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে পর্যটকরা রাতযাপন, বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয়, থাকা-খাওয়া ও বিনোদনের অত্যাধুনিক সুযোগ পাবেন। দীর্ঘদিন পর হলেও আলুটিলাকে আকর্ষণীয় করতে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটকরা।
পর্যটকরা জানান, নেপালের মতো আলুটিলাকে ঘিরে মাউন্টেন ট্যুরিজম গড়ে তোলা সম্ভব। পর্যটকদের মতামতের সঙ্গে একমত খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা ও হোটেল অরণ্য বিলাসের মালিক স্বপন চন্দ্র দেবনাথ।
তাদের কথায়, খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলাকে ঘিরে মাউন্টেন ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘদিন পর হলেও আলুটিলাকে ঘিরে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ইনকিলাবকে বলেন, পার্বত্য খাগড়াছড়িতে শিল্পকারখানা গড়ে না ওঠায় পর্যটনই অর্থনীতির প্রধান খাত। তাই পর্যটন অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নকাজ চলছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে আলুটিলায় পর্যটক সমাগম আরও বাড়বে। এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেন। এই সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এএমপি থিয়েটার। দর্শক গ্যালারিতে কমপক্ষে ৫০০ পর্যটক বসে একসঙ্গে পাহাড়ের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। অনেক পর্যটক সাজেক বেড়াতে এসে শহরে রাতযাপন করেন। তারা যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশে আলুটিলা পাহাড়ে রাতযাপন করতে পারেন, সে জন্য দুই কোটি টাকা ব্যয়ে খুমপুই রেস্টহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। বিনোদনের জন্য এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ঝুলন্ত সেতুসহ আরও কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।