পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল ইসলাম : মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের প্রফেশনাল ভিসা পুনরায় নবায়ন হচ্ছে না। এতে বৈধভাবে যাওয়া হাজার হাজার কর্মী অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। নিরূপায় হয়ে এসব কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে। অতিরিক্ত জরিমানা অর্থ পরিশোধ করতে দেশে ফেরত আসা অবৈধ কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে।
দীর্ঘদিন যাবত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় শুধু প্রফেশনাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাচ্ছে। তা’ও প্রায় এক মাস যাবত প্রফেশনাল ভিসায় কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র দেয়া বন্ধ রয়েছে। অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীরা দেশে ফিরতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে জরিমানার ৪শ’ রিংগিটের স্থলে ৯৬৫ রিংগিট দিতে বাধ্য হচ্ছে। ১৬টি সোর্স কান্ট্রির অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে মালয়েশিয়া সরকার জনপ্রতি ৪শ’ রিংগিট জরিমানা ধার্য্য করেছে। মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত জরিমানা ৪শ’ রিংগিট ইমিগ্রেশনে পরিশোধ করে টিকিট কেটে ১৫টি সোর্স কান্ট্রির অবৈধ কর্মীরা প্রতিনিয়ত দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশী অবৈধ কর্মীদের দেশে ফিরতে ৪শ’ রিংগিটের স্থলে জরিমানা গুনতে হচ্ছে জনপ্রতি ৯৬৫ রিংগিট। অবৈধ কর্মীরা দেশে ফেরার অতিরিক্ত জরিমানা পরিশোধ করতে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশনে জিম্মি হয়ে পড়ছে। ইমিগ্রেশনের নীচ তলায় তথাকথিত একটি এজেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশী অবৈধ কর্মীদের দেশে ফেরার পাশ নিতে জনপ্রতি ৯৬৫ রিংগিট হাতিয়ে নিচ্ছে। অসমর্থিত সূত্র জানায়, ইমিগ্রেশনে কথিত এজেন্টের সাথে বাংলাদেশ হাই কমিশনের অসাধু কর্মকর্তাদের দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য জরিমানার ৪শ’ রিংগিটের পরিবর্তে জনপ্রতি ৯৬৫ রিংগিট অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে নির্বিঘেœ। অবৈধ কর্মীদের দেশে ফেরার জরিমানার অতিরিক্ত অর্থ ৯৬৫ রিংগিট কমিয়ে ৪শ’ রিংগিটে নামিয়ে আনার জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় অনুরোধ জানানোর পরেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। বিষয়টি সুরাহা করতে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের লেবার কাউন্সিলর সাঈদুর রহমানের কাছে জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর লিখিত আবেদন পেশ করার পরেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। লেবার কাউন্সিলর সাঈদুর রহমানের চরম উদাসীনতার দরুন অবৈধ কর্মীদের দেশে ফিরতে গিয়ে অতিরিক্ত জরিমানা (৯৬৫ রিংগিট) পরিশোধ করতে নাভিশ্বাস উঠছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ হাই কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলামের কাছেও একই বিষয়ে লিখিত আবেদন পেশ করেছেন। গতকাল বুধবার কুয়ালালামপুর থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখার সহ-সভাপতি-১ শাহ আলম হাওলাদার ইনকিলাবকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ এক বছর আগে মৌখিকভাবে হাই কমিশন কর্তৃপক্ষকে জরিমানার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অবৈধ কর্মীদের কাছ থেকে দেশে ফেরার পাস নিতে অতিরিক্ত জরিমানা আদায়ের বিষয়টি রহিতকরণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো ইমিগ্রেশনে বসে যে কথিত এজেন্ট অতিরিক্ত জরিমানা আদায় করছে তাদের কাছ থেকে হাই কমিশনের কেউ কেউ কমিশন খাচ্ছেন? প্রবাসী শ্রমিক নেতা শাহ আলম হাওলাদার জানিয়েছেন, ক্যাটাগরি ১ ও ২ প্রফেশনাল ভিসায় যেসব কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়েছে তাদের ভিসার মেয়াদ পুনরায় নবায়ন করা যাচ্ছে না। এসব কর্মী বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় এসে অনিচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে। সরকার দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করলে হাজার হাজার প্রফেশনাল ভিসার কর্মীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। তিনি বলেন, সরকারের ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগের দরুন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবার পথে। কিন্তু গুটি কয়েক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হলে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাছে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীরা জিম্মি হয়ে পড়বে। সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুবিধা দেয়া হলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।