পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : আর্থিক দুর্নীতি ঢাকতে বগুড়ার ধুনট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু মারজান মো: শাজাহান ছুটিতে থেকেও সন্ত্রাসীর ভয়ে কলেজে যেতে পারছেন না বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ কারণে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাজসহ জাতীয়করণ ঘোষণার পরও অন্যান্য কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ ও বাধ্য হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয়করণের স্বার্থে তাকে বাদ দিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে।
জানা যায়, ধুনট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু মারজান মো: শাজাহান কলেজ তহবিলের ১৯ লাখ টাকা তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রাখেন। নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই টাকা রাখায় শিক্ষক প্রতিনিধিসহ কলেজের সভাপতি তাকে চাপ দিতে থাকেন। এছাড়াও সহকারী হিসাবরক্ষক তার নিকটাত্মীয় হওয়ায় ব্যাংকে টাকা না রেখেই কোনো প্রকার রেজুলেশন ছাড়া ৫-৬ লাখ টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে খরচ করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: হাবিবর রহমান তার আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয়টি আমলে নিলে অধ্যক্ষ সংসদ সদস্যের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। অধ্যক্ষের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও জাতীয়করণের বিষয়ে অনীহার কারণেই শিক্ষক-কর্মচারীরা একজোট হয়ে একটি কমিটি গঠন করে এবং অধ্যক্ষ ছুটিতে থেকেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কলেজে আসতে পারছে না এমন প্রচারণায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
ধুনট ডিগ্রি কলেজের হিসাব সহকারী মো: জাকারিয়া ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় স্লিপ দিয়ে আমার কাছ থেকে নগদ টাকা নিতেন। টাকার পরিমাণ কয়েক লাখ হবে। এছাড়াও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেও অধ্যক্ষ খরচ করেছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি।
কলেজের প্রভাষক ও সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মো: হাফিজুর রহমান জানান, অধ্যক্ষ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা রাখাসহ নগদ টাকা কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই খরচ করেছেন। তিনি আরো জানান, ইউএনও বর্তমানে দায়িত্বে থাকায় তিনি কলেজ পরিদর্শনে এলে একবার তাকে কয়েক দিন অনুপস্থিত দেখতে পান। পরে তিনি হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে গেলে অধ্যক্ষ নিজে তা কেটে ছুটি হিসেবে হাজিরা খাতায় লেখেন। আমরা জাতীয়করণের স্বার্থে তাই বাধ্য হয়েই কমিটি করেছি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজিলাতুন্নেছা জানান, অধ্যক্ষ এ মাসের ১৭ তারিখ থেকে কলেজ জাতীয়করণের কাজের কথা বলে ছুটি নিয়েছেন। তার ছুটি শেষ হওয়ায় আবারো ২৪ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য ধুনট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু মারজান মো: শাজাহানের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।