Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন সমাজের অভিভাবক

সম্পাদক পরিষদ-নোয়াবের স্মরণসভা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি সঙ্কটের সুন্দর সমাধান দিতে জানতেন। সাংবাদিকরা নানা মত ও পথে বিভক্ত থাকলেও সাংবাদিকদের মধ্যে একজন অবিভক্ত মানুষ ছিলেন তিনি। সবার কাছেই তিনি ছিলেন সম্মানের মানুষ, সমাজের অভিভাবক। তিনি শুধু ভালো সাংবাদিক ও ভালো নেতাই ছিলেন না। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। তিনি বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ বেঁচে থাকবে। একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক ও দ্য ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক মরহুম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংবাদপত্রের মালিকেরা। সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণসভা।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ। সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের অন্যতম সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
স্মরণসভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চাইলে রাজনীতি ও ব্যবসায়ও যেতে পারতেন। তিনি সাংবাদিকতাতেই থেকে গেলেন। তার বড় বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবেই মৃত্যু হয়েছে তার।

এ কে আজাদ বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তার আদর্শ বেঁচে থাকবেন। নোয়াবের সহসভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মতো এমন সজ্জন মানুষ কমই দেখেছি। যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, এখন সাংবাদিকতা নানা মত ও পথে বিভক্ত। কিন্তু রিয়াজ উদ্দিন বিভক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে একজন অবিভক্ত মানুষ ছিলেন। সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন একজন ভালো মানুষ, ভালো সাংবাদিক ও ভালো নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে নানা শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

স্মরণসভায় অংশ নিয়ে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ তার বাবার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তার বাবা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতেন। তাঁদেরও পরামর্শ দিতেন আত্মমর্যাদা ও জীবন চলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে ও চলতে। একই সঙ্গে সততা, শিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দিতেন। মৃত্যুর আগেও সাংবাদিকতার প্রতি তার ভালোবাসা একচুলও কমেনি।

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রমূখ। স্মরণসভায় আলোচনার শুরুর দিকে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ