পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবার অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। গতকাল সোমবার সকাল থেকে এ অভিযান শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ডিআইজি আসাদুজ্জামান। বিকেলে চুনারুঘাট থানা চত্ত¡রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, ১৫টি মর্টার শেল, ২৫টি বুস্টার ও ৫১০ রাউন্ড অটো মেশিনগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত রোববার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে আপেল ত্রিপুরা অমিত নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি এলাকার বাসিন্দা বিশু ত্রিপুরার ছেলে। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সাতছড়ির গহিন অরণ্যে এসব গোলাবারুদ থাকার তথ্য দেন। তাকে নিয়ে ভোর রাতে সাতছড়িতে অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তার দেখানো পৃথক দু’টি স্থান থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তিনি কেন, কি উদ্দেশ্যে, কোথা থেকে এসব গোলাবারুদ এনে মজুদ করেছেন।
তিনি জানান, সিটিটিসি সদস্যরা গতকাল সোমবার রাতেই সাতছড়িতে অভিযানে নামে। তারা ভোর ৪টার দিকে আটক অমিতকে নিয়ে সাতছড়ি আসে। টিকেট কাউন্টারের গেইট থেকে প্রায় এক ঘণ্টার হাটার পর তিনি একটি পাহাড়ের টিলার নিচে অস্ত্র রয়েছে বলে সনাক্ত করে। সেখানে সিটিটিসি সদস্যরা মাটি কুড়ে দুইটি বক্স উদ্ধার করে। পরে আরও দু’টি জায়গায় অস্ত্র রয়েছে বলে সেখানে সিটিটিসি সদস্যদের নিয়ে গেলে সেখানেও টিলার উপর মাটি কুড়ে আরও ৪টি বাক্স পাওয়া যায়। পরে অন্য একটি টিলার উপর সনাক্ত মতে মাটি খুড়ে একটি বড় ড্রামে ভর্তি ১৫টি মর্টার শেল পাওয়া যায়। এছাড়া ৪টি বক্সে ৫১০ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এগুলো অটোমেটিক মেশিনাগানের গুলি। উদ্ধারকৃত গোলাবারুদ সাধারণত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে না। এগুলো সাধারণত সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
তিনি জানান, আটক অমিত ত্রিপুরাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তার দখলে বা তার নলেজে আর কোনো গোলাবারুদ আছে কিনা তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এসব অস্ত্র গোলাবারুদ অনেক দিন আগেই তিনি এ বনের অভ্যান্তরে রেখে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনকালে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা ছাড়াও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি ও চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আশরাফ ও তদন্ত ওসি চম্পক ধাম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।