পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফসলের মাঠ বর্তমানে হলুদের চাদরে ঢাকা। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ রঙের সরিষা ফুল। আর সরিষা ক্ষেতের পাশে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌ চাষিরা। এক হাত বৌল্লা, বার হাত শিং, উড়ে যায় বৌল্লা, ধা তিং তিং। সেই বৌল্লা দিয়ে সুস্বাদু মধু সংগ্রহে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষীরা। সরিষা ফুলের মধু চাষ লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের।
প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরও স্থানীয় মৌ চাষিদের পাশাপাশি পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোরসহ বিভিন্ন জেলার মৌ-খামারিরা গোদাগাড়ীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিষা ফুল থেকে বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করছেন। তারা সংগৃহীত মধু রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া পাবনা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছেন।
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সরিষার ভালো আবাদ হয়েছে। মধু সংগ্রহের জন্য জমির পাশে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌ বাক্স। সকালে মধু সংগ্রহের জন্য খুলে দেওয়া হয় মৌ বাক্সগুলো। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে বসে মধু সংগ্রহ করে বাক্সের চাকে জমা করে। আর প্রতি সপ্তাহে একবার সেই বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করেন মৌয়ালরা। তারা মেশিনের মাধ্যমে মধু সংরক্ষণ করে বাজারজাতের ব্যবস্থা করেন।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মৌ খামারের মালিক মো. জামাল শেখ বলেন, ২০০৩ সালে বাক্স নিয়ে মৌ খামার শুরু করেন। বর্তমানে এ কাজে ভালই মুনাফা পাচ্ছেন। হুজরাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার বলেন, মৌ চাষি সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ ব্যবসা বেশ লাভজনক। সপ্তাহের একদিন মৌ চাষিরা বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করেন। এখানে খাঁটি মধু পাওয়া যায়। গুণগত মান ভালো হওয়ায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলায় এ বছর সাত হাজর ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। চার ধরনের সরিষার চাষ হয়েছে। এর বাইরে চাষিরা স্থানীয় কিছু জাতের সরিষাও চাষ করেছেন। এছাড়া সরিষা জমি থেকে বাড়তি আয় করতে অনেক বেকার যুবক এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা মৌবাক্স স্থাপন করেছেন।
তিনি জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর গোদাগাড়ী অফিস থেকে চাষিদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। সারা বছর সরিষা, আম, লিচু থেকে কমপক্ষে পাঁচ টন মধু উৎপাদন হয়। এর বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। মধু সংগ্রহ চলবে আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, মধু সংগ্রহ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বেকার যুবকদের আগ্রহ বাড়ছে। মৌমাছি শুধু মধুই সংগ্রহ করে না। ফসলের জন্য ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ মেরে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সহায়তা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।