পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি নেতারা মুখে যাই বলুক, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে চলমান প্রেসিডেন্ট সংলাপে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করার জন্যই প্রেসিডেন্টের এ সংলাপ। শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যেই এ সংলাপ। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এবং আশা করবো, তারা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করবে। সবকিছুতে ‘না’ বলার রাজনীতি থেকে সরে আসবে এবং চলমান সংলাপে অংশ নেবে। নতুন ইসি গঠনে প্রেসিডেন্ট সংলাপে বিএনপিসহ সবাইকে স্বাগত জানানো উচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা শেখ মুজিব প্রামাণ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গতবারও (একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে) প্রেসিডেন্টের সংলাপের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেটি যে সঠিকভাবে গঠিত হয়েছিল তার প্রমাণ হচ্ছে মাহবুব তালুকদার। যিনি নির্বাচন কমিশনের অনেক বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। অনেকে বলেন তিনি বিএনপি বা বিরোধীদের পক্ষে কথা বলেন। উনিও সংলাপের মাধ্যমেই কমিশনার হিসেবে স্থান পেয়েছেন। এটিতেই প্রমাণিত হয় সংলাপ কার্যকর। এবারও প্রেসিডেন্টের সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছেন, সংলাপ শুরুও করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করতেই এটি করা হচ্ছে।
বিএনপির সংলাপে অংশগ্রহণ বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, প্রেসিডেন্টের সংলাপে বিএনপিসহ সবাইকে স্বাগত জানানো উচিত। ভারতে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে বহু বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চর্চা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ নেই। কিন্তু বাংলাদেশে যে সংলাপ হচ্ছে একে ইতিবাচক হিসেবে স্বাগত জানানো প্রয়োজন ছিল।
সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন নিজেরা বিশেষ কোনো প্রাণীর মতো আচরণ করে তখন অন্যকেও সেই একই প্রাণীর মতো মনে করে, বিষয়টি ঠিক সেরকম।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিজের স্ত্রী নাসরিন কাদেরের নাম প্রস্তাব করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনি কেন ওনার স্ত্রীর নাম প্রস্তাব করেছেন সে ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারবো না, সেটি মুজিবুল হক চুন্নুকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কোনো কথা বা আপত্তি থাকলে সেটি সংলাপে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্টকে বলে আসতে পারেন। সেটিই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি। তারা যে কথাগুলো রাজপথে বলছেন সে কথাগুলো তো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে বলে আসতে পারেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।