পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে কথা বলেছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনিই প্রশ্ন করলেন, ‘হোয়াই মি?’ পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, এটা সারপ্রাইজ নয়। এটা আকস্মিক, দুঃখজনক, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত।
গত মঙ্গলবার রাতে ওই বেসরকারি টেলিভিশনে আইজিপির ২২ মিনিটের ধারণকৃত অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে আইজিপি দাবি করেন, তার সময় রাজনৈতিক নয়, নগরবাসীর শান্তির হাতিয়ার হিসেবেই পুলিশ কাজ করছে।
গত ১০ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাকে নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, যা হয়েছে সব আইন মেনেই হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতের ঢাকা অবরোধে যারা সফল হয়নি বা টানা চার মাস ২০১৫ সালে যারা ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তারা বেনজীর আহমেদের দায়িত্ব পালনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। টেকনাফে র্যাবের হাতে পৌর কাউন্সিলর একরামের নিহত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন ছিল পুলিশ প্রধানের কাছে। এনজিওদের তথ্যদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন বার্তায়। আর সিভিল সোসাইটির অভিযোগ, যা করার কথা নয়, তেমন কাজও করে র্যাব।
এসবের উত্তরে আইজিপি বলেন, সবকিছু আইন মেনেই হয়েছে। যদি আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়ে থাকে, সেটিও যথাযথভাবে দেখছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বেনজীর আহমেদ বলেন, মনোবল ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না বরং এমন ধাক্কায় নিজেদের পেশাগত প্রত্যয় দৃঢ় হয়েছে পুলিশের। আর আজকের যে র্যাব, তার দক্ষতার পেছনে ব্রিটিশ-মার্কিন প্রশিক্ষণের অবদানও রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন পুলিশ প্রধান।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দফতর)। র্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
মার্কিন রাজস্ব দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বর্তমান পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদের নাম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন- র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ (কেএম) আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান ও র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।