পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে থামছে না স্বজনের হাত স্বজন খুন। এবার স্ত্রীকে খুন করে র্যাব অফিসে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী। স্ত্রী আয়েশা মনিকে (২৩) গলা টিপে হত্যার পর গতকাল (মঙ্গলবার) র্যাব-৭ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয়ে হাজির হন স্বামী আলেক শাহ (৩০)। র্যাবের কাছ থেকে খবর পেয়ে ইপিজেড থানা পুলিশ নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের যৌথ আবাসিক কলোনির ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে। আলেক শাহ অভিযোগ করেন স্ত্রী আয়েশা মনি পরকিয়ায় লিপ্ত। এ কারণে তাকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন তিনি।
নিহত আয়শা মনি ইপিজেডস্থ রিজেন্সি গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানার অপারেটর ছিলেন। তবে আয়শা মনির মা মাসফিয়া বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাঁধা দেওয়ার কারণে তার স্ত্রীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেছে আলেক শাহ। ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, আয়শার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী আলেক শাহকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করে আলেক শাহকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আলেক শাহর বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামে একাধিক স্বজন খুনের ঘটনা ঘটেছে। নগরীর টেরিবাজারে ভগ্নিপতিকে খুন করে থানায় হাজির হয় শ্যালক। এর আগে আন্দরকিল্লা কাটা পাহাড়ে স্ত্রীকে পাথর মেরে খুন করে স্বামী। তার আগে সীতাকু-ে স্বামীকে খুন করে লাশ বাসায় রেখে থানায় হাজির হন স্ত্রী। নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে নববধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পালিয়ে যায় স্বামী। স্বামীর বন্ধুকে আটকের পর সে পুলিশকে জানায়, তারা দু’জনে মিলে তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহ বিশেষ করে পরকিয়া, মাদকাসক্তির জেরে স্বজনের হাতে স্বজন খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
এদিকে স্বামীর সাথে কলহের জের ধরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন সুমি আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূ। গতকাল ভোর রাতে ডবলমুরিং থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারের মাদ্রাসা রোডের সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সালাউদ্দিনের মেয়ে সে।
চট্টগ্রামে স্ত্রী খুনের দায় স্বীকার স্বামীর
ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে হত্যা করি। এরপর লাশ বাসায় রেখে তার মাকে খবর দিয়ে পালিয়ে যাই। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন-অর-রশিদের আদালতে স্ত্রী খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন রিদুয়ানুল কাদের হৃদয় (৩০)। নগরীর মোহরায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার ১০ দিন পর কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর রিদুয়ানুল কাদের হৃদয় স্ত্রী খুনের দায় স্বীকার করে। গতকাল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান চান্দগাঁও থানার ওসি সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির।
ওসি জানান, গত ১৪ অক্টোবর রাতে রিদুয়ান তার স্ত্রী শানু আক্তারকে খুন করে পরদিন কক্সবাজার পালিয়ে যায়। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের নুইন্ন্যা ছড়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রিদুয়ান তার স্ত্রী শানুকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করে। বাথরুমের দরজার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন সে পাশের বাসায় চাবি দিয়ে শাশুড়িকে ফোন করে শানু অসুস্থ বলে জানায়।
বাসায় শাশুড়ি গিয়ে শানুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানায় এবং পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওসি শাহজাহান বলেন, শানুর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। স্বামী মারা যাওয়ার পর সে রিদুয়ানুলকে তিন বছর আগে বিয়ে করে। কিন্তু সে অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে রিদুয়ানুল ও শানুর মধ্যে কলহ ছিল উল্লেখ করে ওসি বলেন, ঘটনার দিন রাতে রিদুয়ানুল ফোনে মেয়েটির সাথে কথা বলার সময় শানু এর প্রতিবাদ করে। এসময় উত্তেজিত হয়ে রিদুয়ানুল শানুকে ওড়না দিয়ে গলায় চেপে ধরলে সে মারা যায়। স্ত্রী খুন করে কক্সবাজার গিয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে করে রিদুয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।