পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি)। আগামী দুই বছরের মধ্যে ২৩০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন এই লাইন নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
উচ্চ ভোল্টেজের এই লাইন চালু হলে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া নির্মাণাধীন কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিতব্য ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে উত্তোলন করা যাবে। নতুন নির্মিতব্য সঞ্চালন লাইনগুলো চট্টগ্রামের হাটহাজারী, শিকলবাহা, রামপুর ও আনোয়ারা এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
লাইন নির্মাণে গতকাল (মঙ্গলবার) পিজিসিবি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাপানের দুটি ও কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পিজিসিবি। কনসোর্টিয়ামে জাপানের ফুজিকুরা লিঃ, ইটুছু করপোরেশন এবং কোরিয়ার এল এস ক্যাবল লিঃ যুক্ত রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী দু’ বছরের মধ্যে হাটহাজারী থেকে শিকলবাহা পর্যন্ত ২৮ কি.মি. লাইন, হাটহাজারী থেকে রামপুর পর্যন্ত ২৮ কি.মি. এবং আনোয়ারা থেকে শিকলবাহা পর্যন্ত ১৮ কি.মি. বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করবে কনসোর্টিয়াম।
সবগুলো লাইনই হবে ২৩০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন। এ কাজের চুক্তিমূল্য ৫৪৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন সহযোগী জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি সম্মিলিতভাবে এ কাজে অর্থায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব মোঃ আশরাফ হোসেন এবং কনসোর্টিয়ামের পক্ষে ফুজিকুরা লিঃ এর মহাব্যবস্থাপক রিও কিতাহারা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
রিও কিতাহারা বলেন, আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও অবদান রাখতে চাই।
পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী বলেন, চট্টগ্রামে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রগুলো এসব নতুন সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তিনি লাইনের নির্মাণ কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য কনসোর্টিয়ামের প্রতি জোর তাগিদ দেন।
চুক্তি স্বাক্ষরপর্বে পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ডডি) চৌধুরী আলমগীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) পরেশ চন্দ্র রায়, প্রধান প্রকৌশলী (পিএন্ডডি) অরুণ কুমার সাহা, প্রকল্প পরিচালক মাহবুব আহমেদ সহ উভয়পক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।