Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দারিদ্র্য নিরসনের পথে দেশ

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দারিদ্র্য নিরসনের পথে বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা ও দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার ব্ল-গোল্ড প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল লেক ক্যাসেলে নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ব্লু গোল্ড প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে আগামী দুর্যোগ থেকে রক্ষায় শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। নেদারল্যান্ডসের কারিগরি সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২১০০ সালের আগেই ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন হবে।
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এই প্রকল্প সহায়তা করায় নেদারল্যান্ডসকে ধন্যবাদ জানান এবং বাস্তবায়িত এলাকায় এর সুফল নানাদিক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের এ্যাম্বাসেডর এ্যানি ভেন লিওয়েন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো, আসাদুল্লাহ, ব্লু- গোল্ড প্রকল্পের টিম লিডার গাই জোনস, প্রকল্প পরিচালক মো, হুমায়ুন কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। দারিদ্র্য বিমোচন, কৃষি উৎপাদন, মৎস্যখাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। খুলনা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা,বরগুনা ৪ উপকূলীয় জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়।



 

Show all comments
  • jack ali ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৩১ পিএম says : 0
    Such a pathetic lie????????????????????????????????????????????
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৫৩ পিএম says : 0
    করোনাকালে লাখ লাখ মানুষ চাকরি ও কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। পরিসংখ্যান আনুসারে, গত দেড় বছরে আয় কমে যাওয়ায় কয়েক কোটি মানুষের অবস্থান এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে। করোনাকাল পেরিয়ে ধীরে ধীরে অর্থনীতিতে স্বাভাবিক গতি ফিরতে শুরু করলেও কর্মহীন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়বৃদ্ধির তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তবে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর কথা বলে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া পরিবহন মালিকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিতে ক্ষেত্র বিশেষে ৩০-৪০ ভাগ ভাড়াবৃদ্ধির ঘোষণা দিতে দুইদিনও সময় নেয়নি সরকার। সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এই ভাড়াবৃদ্ধির কৌশল কাজে লাগিয়েছে সরকারের বশংবদ পরিবহন মালিকরা। এমনিতেই গত কয়েক মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য লাগামহীন হয়ে পড়েছিল, ডিজেলের মূল্য ও গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগে পণ্যমূল্য আরেক দফা বাড়িয়ে কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহ করা দুর্বহ করে তোলা হয়েছে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত এবং গ্রামীন অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের সংকট ও দারিদ্র্যবৃদ্ধির প্রভাব সমাজের সব স্তরেই পড়তে দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে সমাজে অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়া তারই প্রতিফলন। বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের মত তৃণমূল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধিদল বিএনপি সরাসরি অংশগ্রহণ না করায় রাজনৈতিক উত্তাপ না থাকলেও ভোটারদের মনোভঙ্গিতে বড় ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনা এবং সহিংস রক্তপাতের ঘটনা সাম্প্রতিককালে এর আগে দেখা যায়নি। কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য, পণ্যমূল্য বৃদ্ধিতে জীবনযাপনের ব্যয়বৃদ্ধির কারণে একশ্রেণীর সাধারণ মানুষ নির্বাচনের প্রার্থীদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করে নিচ্ছে, এমনটাই ধরে নেয়া যায়। অন্যদিকে ক্ষমতার দ্বন্দ ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত দলীয় নেতাকর্মীরা প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় হাট-ঘাটের ইজারা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে যে অর্থ জমিয়েছেন, নির্বাচনে তার কিছুটা খরচ করে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি ধরে রাখার চেষ্টা করছে। নির্বাচনী সহিংসতা কমিয়ে আনার জন্য অনেকগুলো ধাপে দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্বাচন করা হলেও গত তিনটি ধাপে নির্বাচনী সহিংসতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে পাস করা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বেশিরভাগ নির্বাচনের খরচ তুলে পরবর্তি নির্বাচনের বৈতরনী পার হওয়ার জন্য অর্থ জমানোর টার্গেট নিয়েই কাজ করেন। এর ব্যতিক্রমও আছে, স্থানীয় বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানরাও শুধুমাত্র পদবির জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান-মেম্বার হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে দেখা যায়। তবে দলীয় প্রভাবশালী এমপির ছত্রছায়ায় থাকা প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় পদ লাভের মওকা পাচ্ছেন। শত শত ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মানে এই নয় যে, সেখানে তার কোনো প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ছিল না। দলীয় পদ ও এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সম্ভাব্য পটেনশিয়াল প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সব রকম ব্যবস্থাই সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও নৌকার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের উপর হামলা করে, আপস করতে বাধ্য করে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ের পথ নিষ্ককণ্টক করা হয়েছে। এরপরও দলীয় বিদ্রোহী ও অন্যদলের ছদ্মবেশি প্রার্থীদের কাছে সরকারি দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজিত হওয়ার অনেক নজির সৃষ্টি হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দারিদ্র্য নিরসনের পথে দেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ