Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ভর্তির ব্যবস্থা করায় ভর্তি-বাণিজ্য ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। আগে ভালো স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অভিভাবকদের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও অনাকাক্সিক্ষত তদবির ছিল, এখন আর তা নেই। গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম ভবন) বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা বড় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা উপকরণেও পরিবর্তন আসবে। সে অনুযায়ী কাজ করছে সরকার। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বড় পরিবর্তন করতে চাই।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষার সব পর্যায়ে আমরা মানোন্নয়ন করব। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষানির্ভর। মনে হয়, পুরো প্রক্রিয়ায় একটি সনদ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা লড়ছে। পুরো বিষয়টি এমন যে, কত নম্বর পেলাম। আসলে আমাদের মাইন্ড সেটের বিষয়ে একটি সমস্যা আছে। আমরা এ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যে ভর্তি যুদ্ধ করতে হতো, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে তা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমাদের যেসব নেতিবাচক চর্চা রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে এসে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে ভাল নম্বর পাওয়া বাচ্চারা একটি স্কুলে, বাকি বাচ্চারা অন্য স্কুলে। এটিই ছিল আমাদের অবস্থা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন মিক্সড লেভেলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিচ্ছেন। এর ফলে দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষের সাইজের পরিবর্তন, মিড ডে মিল, ও মেয়েদের আয়রন খাওয়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। শিক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে তাদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
ভর্তির ফল প্রকাশন: ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলগুলোয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। ২ হাজার ৯০৭টি বিদ্যালয়ে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮০৭ শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তির আবেদন করেছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের অনেকে একাধিক আবেদন করায় মোট আবেদন সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ লাখ ১৪ হাজার ৮২১টি। মোট আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ। সেই হিসাবে দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসনই শূন্য থাকছে এবার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এর আগে এক অফিস আদেশে জানায়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তিপ্রক্রিয়া ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ