পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তাকে চাপা দেওয়া বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক। এতে দুর্ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীকেই পুরো দোষ দেওয়া হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় মনোরঞ্জন হাজংকে আসামি হিসেবে মামলা করা উচিত ছিল বলেও জিডিতে উল্লেখ রয়েছে। দুর্ঘটনার পর পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে বলেও দাবি জিডি করা ব্যক্তির।
গাড়িচাপায় পা হারানো মনোরঞ্জন হাজং এখন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তার মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়ার মামলা নিতে বাধ্য হয় বনানী থানা পুলিশ। যদিও এর দুই দিন আগেই গত ১৪ ডিসেম্বর বনানী থানায় সাঈদ হাসান জিডি করেন। বিস্তারিত বর্ণনার বেশকিছু জায়গায় দুর্ঘটনার জন্য সার্জেন্টের বাবাকেই সরাসরি দায়ী করা হয়। তবে জিডিতে নিজের বিস্তারিত পরিচয় লেখেননি তিনি। বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে একটি দ্রুতগতির বিএমডব্লিউ গাড়ির চাপায় আহত হন মনোরঞ্জন হাজং। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থার কারণে অস্ত্রোপচার করে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এরপর তাকে শাহবাগে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহত মনোরঞ্জন হাজং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার। তার মেয়ে মহুয়া হাজং ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। দুর্ঘটনার পর ১৩ ডিসেম্বর তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার বনানী থানা পুলিশ মহুয়া হাজংয়ের মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করলেও আসামিদের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হিসেবে দেখান। এজাহারে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর ৯৮ ও ১০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।