পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের উন্নয়নকে জীবন বিপন্নকারী বলে অখ্যায়িত করেছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বলেন পাহাড় কেটে. বন উজার করে, নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। আর এভাবে উন্নয়নের নামে পরিবেশকে ধ্বংস করে মূলত মানব জীবনকেই বিপন্ন করা হচ্ছে। গতকাল বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশবাদীরা এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী সভাপতি ড. আব্দুল মতিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ৫০ বছরে দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এসব উন্নয়ন সুপরিকল্পিত নয়। এসব উন্নয়নের বেশির ভাগই জীবন বিপন্নকারী। বন দখল করে, নদী দখল ও দূষণ করে যে শিল্প কারখানা হচ্ছে, তা মূলত পরিবেশকে বিপন্ন করছে। উন্নয়নের নামে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হয়েছে। এসব প্রকল্প এখন বাতিল করতে হচ্ছে। তাই প্রকৃত উন্নয়ন করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করে করতে হবে। তা হলে এসব উন্নয়ন জীবকেই বিপন্ন করবে।
নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য মিহির বিশ্বাস বলেন, দেশের সবগুলো নদী আজ দূষণে ধুকছে। নদীর তীর ঘেষে অবাধে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা। এটাকে খুব গর্ব করে যদি দেশের উন্নয়ন হয়েছে বলা হয় তাহলে এ উন্নয়নকে প্রাণঘাতি বলেই উল্লেখ করতে হবে। কারণ এসব কারখানা থেকে নির্গত ক্যামিকেল নদীতে মিশে নদীকে দূষিত করছে, নদীকে হত্যা করছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা এসব নদী এখন মৃত। দেশের সর্বোচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা বলে অখ্যায়িত করেছেন। হাইকোর্টে এক রায়ে বলা হয়েছে, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, আমরা বাঁচব। সরকার উন্নয়ন করছে, কিন্তু তাতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ এবং বিপন্ন হচ্ছে জীবন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।