পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেকেই টিসিবির ট্রাক থেকে একটু কম দামে পণ্য কেনার আশায় মাঝ রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু, সে তুলনায় আয় বাড়েনি সাধারণ মানুষের। মহামারির প্রভাবে দুর্দশায় পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। তা এখনও কেটে উঠতে পারেননি অনেকই। তার উপর ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছে সাধারন ক্রেতাদের।
শীত চলে আসলেও বাজারে এখনও কমেনি অধিকাংশ সবজির দাম। সবজির বাজারে সরবরাহ বাড়লেও শিম, টমেটো, গাজর, কাঁচামরিচ বাদে সব সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিজোড়া হাঁসের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। ইলিশের চাহিদা না থাকলেও হালিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। সাধারণত দামে সাশ্রয়ী ও সহজে পাওয়ার কারণে বরাবরই নিম্ন ও মধ্যবিত্তের প্রোটিন চাহিদার একটা বড় অংশ মিটিয়ে থাকে সোনালি জাতের হাঁস-মুরগি। তবে পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় কয়েক মাস ধরে এই বাজারও ক্রেতাদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছে। পেঁয়াজ এখনও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন মহাবিপদে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, করলা ৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, দেশি আলু ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিচ ৪০, পেঁয়াজের ফুল (ফুলকা) প্রতি আটি ২০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ক্ষীরা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা আর কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যদিও ডিমের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেতারা। হালিপ্রতি সোনালী মুরগির ডিম ৫০ টাকা, হাঁস ৫৫ টাকা, সাদা ফার্ম ৩০ টাকা এবং লাল ফার্মের ডিম ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহে বয়লার মুরগির দাম কেজিতে বাড়লো ১৫ টাকা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬৫-১৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৬৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা।
বয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির। ব্যবসায়ীরা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২৭০-২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৭০ টাকা।
মুরগির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, কয়েক মাস ধরে বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম কমে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ৪০-৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
পাকা টমেটোর পাশাপাশি বাজারে নতুন আসা আলুর দামও কমেছে। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া নতুন আলু এখন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পুরাতন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ মাছগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামও পরিবর্তন আসেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।