Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত ও নির্বাচনে জয়লাভকে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি

প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৪ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছি -ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার : দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে শক্তিশালী টিমওয়ার্ক গড়ে তোলাসহ দুটি এজেন্ডা ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের পর দলের সামনের এজেন্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দুটি এজেন্ডা হাতে নিয়েছি। এক সাম্প্রদায়িক পরাশক্তিকে পরাজিত করা। দুই আগামী নির্বাচনের জন্য দলের প্রস্তুতি নেয়া। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করবো।
দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরদিন গতকাল সোমবার ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্তর পর প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় দলের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান তার দুই পাশে ছিলেন।
দলের এজেন্ডা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বেশি এজেন্ডা হাতে নেয়া উচিত নয়। এতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে যায়।
সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন, সেটাকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের চমক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রাপ্তিকে নিজের ‘পরিশ্রমের পুরস্কার’ এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে ‘জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি’ হিসেবেও দেখছেন।
দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী কীভাবে দলকে গতিশীল করে এগিয়ে নিতে চান, তার একটি রূপরেখা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে কাদের বলেন, সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সাত বছরের অভিজ্ঞতা ও সুচিন্তিত দায়িত্ব পালন তাকে এই দায়িত্বে ‘অনুপ্রেরণা যোগাবে’।
কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য চমক নিয়ে যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, চমক এটাই ছিল, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমার নাম প্রস্তাব করেছে। এটাই হল শেখ হাসিনা। সম্মেলনের চমক সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অনেকেই চমক কী সেটা জানতে চেয়েছেন। চমক হলো আমার নাম প্রস্তাব সৈয়দ আশরাফই করেছেন। এটাই চমক। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ম্যাজিক পাওয়ার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দলের সভাপতি ও তৃণমূল থেকে আসা কাউন্সিলরদের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়ে কাদের এর বিনিময়ে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভবিষ্যতে দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সারাদেশে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল। ২০ তারিখ থেকেই সারাদেশের সব রাস্তা যেন এসে মিশেছিল ঢাকা শহরের মোহনায়। দলের সব নেতাকর্মীর জিজ্ঞাসা ছিল কারা হচ্ছেন দলের পরবর্তী নেতা। এরপর আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য দলের নেত্রী শেখ হাসিনাসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে নতুন সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের আচরণ সামনে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আরও গুণগত পরিবর্তন হবে। আমাদের নিজেদের বদলাতে না পারলে আমরা দেশকে পরিবর্তন করতে পারবো না। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন আওয়ামী লীগে হবে। আমরা যদি নিজেদের বদলাতে না পারি তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বদলাবো কিভাবে? এজন্য দলের নেতাকর্মীদের আচরণ বদলানোরও অনুরোধ জানান তিনি।
শেখ হাসিনার দলে কোনো অনৈক্য, বিভেদ কখনও প্রশ্রয় পাবে না মন্তব্য করে নতুন সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই তিনি দলকে এগিয়ে নিতে চান। আমার অগ্রজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সভাপতিম-লীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। উনার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আমাকে দায়িত্ব পালনে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন, আজকেও (গতকাল) কেবিনেট মিটিংয়ে তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। আমার অবাক লাগল। তার সব কিছুই ইজি। হি ইজ ডেফিনিটলি ইজি। বিচলিত হওয়া বা কোনো প্রকার হতাশার ছবি আমি তার মুখম-লে দেখিনি। বরং আগের কয়েকটি কেবিনেট মিটিং থেকে আজকে তাকে আরও প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। এর কৃতিত্ব দল ও দলীয় সভাপতিকে দিয়ে কাদের বলেন, এটাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মোটিভ। আমাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতান্তর হতে পারে, তবে মনান্তর হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি নিজেকে মন্ত্রী ভাবি না, দেশের একজন সাধারণ নাগরিক ভাবি। নিজেকে শেখ হাসিনার কর্মী ভাবি। তিনি বলেন, আমি পরিশ্রমের পুরস্কার পেয়েছি। রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছি।
তিনি বলেন, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাই। সেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে, কখনও কখনও নালিশও করে। এখন যেহেতু অথরিটি পেয়েছি, সেহেতু একদিকে সড়ক ও সেতু দেখবো পাশাপাশি তৃণমূলের সমস্যাও দেখবো। আমি এখন দলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ শুনতে পারবো। সঙ্গে সমাধানও দিতে পারবো। আগে অভিযোগ শুনতাম তবে সমাধান দিতে পারতাম না। এখন আমি সেটা দিতে পারবো। দায়িত্বপালন করতে গিয়ে ঘাম-শ্রম-মেধা-শক্তি-সামর্থ্য সবকিছু উজাড় করে দেবো। নেতৃত্বের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবো। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল। এই দায়িত্ব সুবিশাল। আমি একটি অঞ্চলের হলেও আমার মধ্যে কোনও আঞ্চলিকতা থাকবে না। আমি যখন এখানে আসি তখন একটি অঞ্চলের শ্লোগান শুনেছি। তবে এখন আমি আঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবো। সবার ওপরে দেশ।
কাদের আরও বলেন, সংগঠন ঠিক করবো। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত করবো। দলের সব নেতাকর্মীর আচরণ আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ করবো। দলকে আরও বেশি সুশৃঙ্খল করবো। সর্বোপরি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য কাজ করবো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আচরণে-উন্নয়নে দেশের সেরা দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে বিএনপির অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের ব্যাপার। তবে তাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন মনে প্রাণে গ্রহণ করতে পারতাম যদি তারা আমাদের সম্মেলনে আসতো। তারা কথা দিয়ে কথা রাখলেন না। সম্মেলনে আসলে তাদেরকে কেউ বলতো না, ‘ডাল ম্যে কুচ কালা হ্যায়।’
আওয়ামী লীগও বিএনপির সম্মেলনে যায়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, আমরা তো তাদের কথা দেইনি। এর আগের বারের সম্মেলনে কথা দিয়েছিলাম, তখন গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এবার কথা দিয়েছিল আসবে বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো এলো না। এসব বলে এখন আর প্যান্ডোরার বাক্স খুলতে চাচ্ছি না।
বিএনপি প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে খেসারত দিচ্ছে। সংসদে কিংবা সংসদের বাইরে কোথাও বিরোধীদলের স্ট্যাটাস নাই। আবার যদি তারা ভুল করে তবে ভুলের চোরাবালিতে আটকে থাকতে হবে তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সব অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা আশা প্রকাশ করে জানান, আজ-কালের মধ্যে দলের সম্পাদকম-লীর নেতাদের নাম, ৩-৪ দিনের মধ্যে সদস্যদের নাম প্রেস রিলিজ করে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময়ও লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের শেষ অধিবেশনে দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা পুননির্বাচিত ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রস্তাবে ও দলের কাউন্সিলরদের সমর্থনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির নেতা আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
‘আমি আপাদমস্তক নীতি নৈতিকতা মেনে চলি’
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আপাদমস্তক নীতি-নৈতিকতা মেনে চলি। গতকাল সোমবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দফতরে গেলে মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন ছিদ্দিকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে মিষ্টি মুখ করান। এ সময় তাদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ছোট আপা (শেখ রেহানা) দেশে ফিরলে এবং এর মধ্যে দলের কমিটি সম্পূর্ণ হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যাব।
তিনি আরও বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এখন থেকে দলীয় কাজে বেশি সময় দিতে হবে। তাই মন্ত্রণালয়ের কাজে আমি হয়তো আগের মতো সময় দিতে পারব না। এজন্য যাতে কোনও প্রোগ্রাম বাতিল করা না হয়। আমার জন্য কোনও কাজ যেন থেমে না থাকে।
মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে ১৫ মিনিট অবস্থানের পর তিনি মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দেন। সভাকক্ষে প্রবেশ করে তিনি সেখানে উপস্থিত সবার কাছে গিয়ে কুশল বিনিময় করেন। ঠিক সে মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তখন ওবায়দুল কাদের তাকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, রোববার আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের



 

Show all comments
  • Jamal ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ৩:৩৯ পিএম says : 0
    Leader Go ahead, we all are with you.
    Total Reply(0) Reply
  • আরমান ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ৩:৪১ পিএম says : 0
    আশা করি এবার ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতারা মূল্যায়িত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আসমা ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ৩:৪৩ পিএম says : 0
    আমার মনে হচ্ছে, বর্তমান সময়ের জন্য তিনিই যথার্থ সাধারণ সম্পাদক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত ও নির্বাচনে জয়লাভকে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ