পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করল। গতকাল বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শপথ করান। এই শপথ বাক্য পাঠের জন্য নির্মাণ করা হয় মঞ্চ। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে শপথ পড়ান, সেই ডায়াসে মুজিববর্ষ বানান-ই ভুল! দুই দিন ধরে মঞ্চ নির্মাণের সময় সেই ভুল চোখে পড়লো না দায়িত্বশীলদের? সেখানে মুজিববর্ষের জায়গায় লেখা হয়েছে ‘মুজিবর্ষ’! ভারতের প্রেসিডেন্ট যেখানে হাজির; সেই বড় একটি ঐতিহাসিক জাতীয় অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের এটি নজরে পড়েনি? দায়িত্বরতদের খামখেয়ালিপনায় সারা বিশ্ব দেখল বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার বিকৃত নাম!
জাতির পিতার নামের এমন বিকৃতির ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। নানাজনে নানান মন্তব্য করছেন। প্রশ্ন তুলছেন এমন জাতীয় অনুষ্ঠানের দায়িত্বরতদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের।
কোনো কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টাইমলাইনে ছবিটি পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এত বড় আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে ডায়াসের এই একমাত্র ছোট্ট লেখাটাও দেখার কি কেউ ছিল না? এটাও কি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসেনি বলে সমাধান/ত্রুটিমুক্ত হয়নি- এমন প্রশ্নও রাখেন নেটিজেনরা।
জাতীয় এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল বহুদিন আগ থেকে। এরপরও প্রধানমন্ত্রীর ডায়াসে এমন ভুল মেনে নেওয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মানুষ।
অনুষ্ঠানটি দেশের টিভিগুলোতে সরাসরি প্রচার করা হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। এরপরই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই জাতীকে শপথ করাতে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। পৌঁনে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
দেশের সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/ মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শপথের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই বানান ভুলের বিষয়টি সবার চোখে পড়ে। প্রশ্ন তোলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকে। প্রশ্ন হচ্ছে এতো বড় ভুল কেন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।