পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : আশ্বিন-কার্তিক দুই মাস দেশের প্রাকৃতিক মাছের মৌসুম। এসময় দেশের নদী-নালা, বিল-ঝিল, খানা-খন্দরে প্রচুর সংখ্যক মাছ ধরা পরে। এমন এক সময় ছিল যখন এসব জলাশয়ে এত বেশী সংখ্যক মাছ ধরা পরতো যে বাঙালী সমাজের মানুষ এসব মাছ খেয়ে শেষ করতে পারতো না।
বাজারে বন্দরে এত মাছ বিক্রিও হতো না। বাধ্য হয়ে মানুষ এসব মাছ শুকিয়ে রাখতো। অভাবের সময় জাউ রেঁধে খেতো। ধারণা করা হয় সে সময়ে বাঙালীদের প্রধান খাদ্য ছিল মাছ। দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য ছিল ভাত। এসময়ের সৃষ্টি হয় সেই বিখ্যাত প্রবাদ মাছে-ভাতে বাঙালী। আজ আর সে দিন নেই। এবছর আশ্বিন মাস গড়িয়ে কার্তিক মাস এসেছে। বাজারে প্রাকৃতিক গুড়া মাছের দেখা নেই। স্বল্প কিছু যাও মিলছে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এরই মধ্যে বাজারে আমদানী হচ্ছে নদী-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ের শেষ পর্যায়ের ছোট মাছ। এসব মাছ শিকার করা আইনতঃ নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপরও ছোট পাই’র ছাকনি কারেন্ট জাল দিয়ে জলাশয়গুলো ছেকে ছেকে মাছের বংশ নির্বংশ করে দিচ্ছে এক শ্রেণির মাছ শিকারি। তবে এরা প্রকৃত জেলে নয়। এরা হচ্ছে সমাজের প্রথাগত নেতা। জাল যার জলা তার এই ভিত্তিতে জলাশয়ের মালিকানা এখন আর নেই। এখন প্রকৃত জেলেরা হচ্ছে প্রথাগত নেতাদের আধুনিক দাস। এ প্রথাগত নেতাদের দখলাধীনে চলে গেছে নদী-নালা, বিল-ঝিল, খানা-খন্দরসহ সকল প্রকার জলাশয়। আর একারণেই দেশের সম্পদ প্রাকৃতিক মাছের প্রতি এদের কোন দরদ নেই। এদের দরদ শুধু টাকার প্রতি। টাকার লোভে এরা দিনের পর দিন ধ্বংস করে দিচ্ছে মাছের বংশ। অথচ এসব দেখারও কেউ নেই। এই অত্যন্ত ছোট ছোট মাছের ছবিটি গতকাল রোববার নরসিংদী রেল বাজার থেকে তোলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।