Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে চান হিলারি

প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ১৪ দিন বাকি থাকার প্রেক্ষিতে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার প্রচেষ্টা জোরদার করছেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, হিলারি ইতোমধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্পের চেয়ে বেশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। আর মাত্র দুই সপ্তাহ পর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবিসি টেলিভিশনের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ৫০ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছেন। আর রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প পেতে যাচ্ছেন ৩৮ শতাংশ ভোট। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের ব্যবস্থাপক কেলিয়ানি কনওয়ে রোববার এনবিসি টেলিভিশনের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছেন, তারা পিছিয়ে রয়েছেন। তবে তিনি বলেন, নির্বাচন এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
ফ্লোরিডার নেপলসে এক সমাবেশে ট্রাম্প তার সমর্থকদের গণমাধ্যমের কথা বিশ্বাস না করার আহবান জানান। হিলারি ক্লিনটন শার্লটে এক সমাবেশে বলেন, ‘আপনারা যা চান এবং নিজেদের ও ভবিষ্যতের জন্য যা বিশ্বাস করেন তার আলোকেই আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্স অনুযায়ী, হিলারি সারাদেশে ট্রাম্পের চেয়ে গড়ে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। তিনি বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতেও এগিয়ে রয়েছেন।
মঙ্গলবারেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেন?
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে অনেকেরই আগ্রহের শেষ নেই। কারণ এ নির্বাচনের মাধ্যমে যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না কেন তার দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকা-ের প্রভাব পড়ে গোটা দুনিয়ায়। চার বছর অন্তর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রতিবার মঙ্গলবারেই কেন এ নির্বাচন তা অনেকেরই অজানা।
যে দিনই নির্বাচন হোক তাতে যেন ডিসেম্বরের প্রথম বুধবারের আগে ৩৪ দিনের ব্যবধান থাকে এমন একটি বিধান রেখে ১৭৯২ সালে আইন পাশ হয়। ডিসেম্বরের ওই দিনটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচকরা মিলিত হতেন। ওই সময় তাদেরকে বলা হতো নির্বাচনী প্রতিনিধি।
মূলত কৃষিকাজের সুবিধার কথাটি বিবেচনায় রেখে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহটা নির্বাচনের জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল। কারণ ওই সময় ফসল কাটা হয়ে যায় এবং কৃষকের হাতে অফুরন্ত সময় থাকে। আর ভোটকেন্দ্রগুলো দূরে হওয়ায় সময়েরও একটি ব্যাপার ছিল।
যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যার কারণে ওই সময় অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। পরবর্তীতে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়। ট্রেন ও টেলিগ্রাম ব্যবস্থার ফলে এক রাজ্যের নির্বাচনের ফল জানতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতো না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো, এক রাজ্যের ফলাফল আরেক রাজ্যে নির্বাচনী ফলে প্রভাব বিস্তার করে। এ কারণে একই তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়।
১৮৪৫ সালে সব অঙ্গরাজ্যে একসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মার্কিন কংগ্রেস একটি একক দিন বেছে নেয়। আর নির্ধারিত এ দিনটি ছিল নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবার। এতে আইনে থাকা ডিসেম্বরের প্রথম বুধবারের আগে ৩৪ দিনের ব্যবধানটি রক্ষিত হয়।
তবে মঙ্গলবারই কেন? এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, শনিবার ছিল কৃষকের মাঠে কাজের দিন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কৃষকদের রোববার গির্জায় যাওয়ার কারণে দূরে যাওয়া হতো না। আর বুধবার ছিল বাজারের দিন। মাঝখানে বাকি ছিল মঙ্গলবার। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের জন্য মঙ্গলবারকেই বেছে নেয়া হয়। -সূত্র : এএফপি ও ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে চান হিলারি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ