Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহেশপুরে শিশু আজমীর অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত

প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ডাক্তারের হাতবদল হতে হতে টাকা-পয়সা শেষ। ছেলের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। ছেলেকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন মাতা আরজিনা বেগম। যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্যের হাত বাড়ান তবে হয়তো এ শিশুটি সেরে উঠতে পারে। জানা গেছে, মহেশপুর পৌরসভার বোয়ালীয়া গ্রামের হাবিলের পুত্র আজমীর হোসেন, বয়স আড়াই বছর। জন্মের ৪ দিন পর হঠাৎ করেই শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোস্কা পড়ে। তারপর আস্তে আস্তে তা পুরোÍ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। দরিদ্র পিতা-মাতা তাদের সাধ্যমতো বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করান।
শিশু আজমীরের মাতা আরজিনা বেগম জানান, ডাক্তারের কাছে গেলেই নানা ধরনের টেস্ট দিয়ে থাকে। টেস্ট করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি, কাজের কাজ কিছুই হয় না। এখন টাকা-পয়সা শেষ, তাই নতুন করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারছি না। আড়াই বছরে ৫-৭ জন ডাক্তারের কাছে গিয়েছি। তারা শুধু টাকা চেনেন। আমার ছেলের রোগের কোনো উন্নতি হচ্ছে কি না সেটা দেখেন না।
ডাক্তার পরিবর্তন করে আরেক ডাক্তারের কাছে গেলেই একই পরীক্ষা-নিরীক্ষা আবার দিয়ে থাকেন। টেস্ট করানো, ডাক্তারের ফি ও ওষুধ কিনতে কিনতে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। ছেলেকে কিভাবে ভালো ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা করাব তা ভেবে পাচ্ছি না। একজন সাংবাদিক তাকে নিয়ে মহেশপুর থানা হাসপাতালে ডা: নাসির উদ্দিনের নিকট নিয়ে যান। ডাক্তার নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে এ শিশুর রোগ শনাক্ত করার মতো ব্যবস্থা নেই। এখন যদি সমাজের কোনো সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে হয়তো এ শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহেশপুরে শিশু আজমীর অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ