পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছেন, ভোটার এবং ইলেকশন কমিশনের (ইসি) মধ্যে তৃতীয় কোনো হাত থাকলে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। যতদিন এই দুইয়ের মধ্যে তৃতীয় হাত থাকবে ততদিন এদেশে সুষ্ঠু ভোট হবে না। আর সুষ্ঠু ভোট ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টার সেমিনারটি আয়োজন করে।
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, নির্বাচনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার। মানুষ দলকে ভোট দেবে কোনো প্রার্থীকে নয়। এরকম হলে দেশে নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ছাড়া কোনো সুযোগ নাই। তবে তাত্ত্বিক গণতন্ত্র নয়, প্র্যাকটিকাল গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকে যে গণতন্ত্র সম্পর্কে স্কুল-কলেজে পড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। জনগণের কথা বলা হলেও কোনো ক্ষেত্রেই জনগণকে দাম দেওয়া হয় না।
সেমিনারে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী। নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশকে এখন আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। এখন আর জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয় না। বর্তমানে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একনায়কতন্ত্রের উন্মেষ ঘটেছে। এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে স্বল্প সংখ্যক বুদ্ধিজীবী সোচ্চার হয়েছিলেন তার মধ্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন অন্যতম।
নিবন্ধে বলা হয়, বর্তমানে বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ শাসক শ্রেণির স্বার্থ হাসিল করে চলছে। পদ-পদবীর জন্য এরা ক্ষমতাবান ও শক্তিধরকে খুশি রাখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। এ অবস্থাতেও কিছু সংখ্যক বুদ্ধিজীবী তাদের আদর্শে অবিচল থাকেন। এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন তাদেরই একজন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক ড. লুৎফর রহমান, এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।