পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। এর পরেও এক শ্রেণির অসাধু ডিলারের যোগসাজশে কৃষকদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৫ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা নিয়ে অব্যাহতভাবে আগামী ১৫ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অসাধু ডিলার ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সার পরিস্থিতি নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও সার ডিলারদের সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরিয়া ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ লাখ টন। জুলাই মাসে আমাদের মজুত ছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার টন। বর্তমানে মজুত আছে ৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন, গতবছর যা ছিল ৯ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। এবছর সারের মজুত গত কয়েক বছরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। এটা আমাদের বোরো মৌসুম। এ সময়েই সারের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আমরা সতর্ক ছিলাম এবং আছি। মজুত পরিস্থিতিতে মোটেই বিপর্যয় ঘটেনি। আমরা যেভাবে প্ল্যান করেছিলাম সেভাবেই এগোচ্ছি। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি কামরুল আশরাফ খানসহ কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের চাহিদা ৭ লাখ ৫০ হাজার টন নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে মজুত আছে এক লাখ ৯২ হাজার টন। ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন, মজুত আছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার টন। এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সারের চাহিদা ৭ লাখ ৫০ হাজার টন, মজুত আছে ৩ লাখ ১২ হাজার টন। পাইপলাইনে সরকারি ও বেসরকারি খাতে যে সার রয়েছে, তাতে কম হওয়ার কোনও কারণ নেই। সার পরিবহন নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল, কিন্তু গত দুই-তিন দিনে এটা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। রেলওয়ের সঙ্গে আমরা একটি সমঝোতায় গিয়েছি, তাতে মনে হয় না পরিবহনে কোনও সমস্যা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাইপলাইনে আমাদের টিএসপি আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টন, ডিএপি ৩ লাখ ৩০ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ২০ হাজার টন। আমি এটুকু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে চাই, মজুতে সামান্যতম সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে। পাইপলাইনে যেটা রয়েছে, আগামী জুলাই পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুত থাকবে এবং বেশিই থাকবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিপুল সারের ঘাটতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সার সংগ্রহ করতে পারেনি। আসামের সরকার পত্রপত্রিকার মাধ্যমে চাষিদের বলেছে তারা যেন সার কম ব্যবহার করেন এবং অর্গানিক সার ব্যবহার করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের একদম ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা যেন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন। যেসব ডিলার ও বিক্রেতা বেশি দামে সার বিক্রি করবেন, তাদের তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমরা চিঠি দিয়ে ডিসি-এসপির সহযোগিতা নিয়ে অব্যাহতভাবে ১৫ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো। অসাধু ডিলার ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।